সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে (Russia-Ukraine War) রুশ বাহিনীর আগ্রাসী ভূমিকাই বেশি করে সামনে আসছে। ক্রমাগত গোলা বর্ষণে, ক্ষেপণাস্ত্র হানায় পুতিনের সেনা দখল নিচ্ছে ইউক্রেনের একের পর এক এলাকা। এর মধ্যেই অন্য খবর সামনে এল। একটি মার্কিন সংবাদ সংস্থার দাবি, রুশ সেনার একটা অংশ একাধিক কারণে ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ছে। এমনকী তারা রণাঙ্গণে যেতে অনীহা বোধ করছে। কেউ কেউ নাকি কান্নাকাটি শুরু করে দিয়েছে! কিন্তু কেন?
ওই সংবাদ সংস্থার দাবি, তারা পেন্টাগন সূত্রে জানতে পেরেছে যে মস্কো ‘ফায়ার অ্যাট এভরিওয়ান’-এর নির্দেশ দিয়েছে, অর্থাৎ শত্রুদেশের সেনার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের ওপরেও নির্বিচারে গুলি চালাতে বলা হয়েছে, যা মানতে পারছে না রুশ সেনার একটা অংশ। পেন্টাগন আরও জানিয়েছে, আসলে এই তরুণ সেনাদের ঠিক মতো প্রশিক্ষণই দেওয়া হয়নি। বড় যুদ্ধের জন্য এরা এখনও তৈরি নয়। ফলে মনোবলে ঘাটতি হচ্ছে। এছাড়াও প্রয়োজনীয় খাদ্য ও রসদের যোগান নেই এদের কাছে।
[আরও পড়ুন: ইউক্রেনে প্রাণ গেল আরও এক ভারতীয় পড়ুয়ার, যুদ্ধের আতঙ্কে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু]
মার্কিন সংবাদ সংস্থার দাবি, এই রুশ সেনারা ইচ্ছে করে নিজেদের সাঁজোয়া গাড়ি বিকল করে দিচ্ছে। যাতে করে রণাঙ্গনে যেতে না হয়। পেন্টাগন জানিয়েছে, যুদ্ধবন্দি রুশ সেনাদের বিবৃতি থেকেই নাকি এই সংবাদ জানা গিয়েছে। কিয়েভের কাছে রুশ ট্যাঙ্ক পৌঁছে গেলেও ইউক্রেনের রাজধানী শহর এখনও দখল নিতে না পারার কারণ এটাই।
সম্প্রতি ইংল্যান্ডের গুপ্তচর সংস্থা ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের একটি রেডিও মেসেজ প্রকাশ্যে এনেছে, যা পেন্টাগনের দাবিকে জোরালো করেছে। যদিও মস্কোর দাবি, গোটাটাই পশ্চিমের অপপ্রচার। রুশ বাহিনী একটি সুশৃঙ্খল ও প্রশিক্ষিত সেনা বাহিনী। তাদের মনোবল ভাঙার জন্যই এমন প্রচার চালানো হচ্ছে। যা আদতে পেন্টাগনের সুচতুর কৌশল।
[আরও পড়ুন: আমেরিকার প্ররোচনাতেই সব গন্ডগোল! পুতিনের পাশেই দাঁড়াচ্ছে মস্কোবাসী]
এদিকে, যুদ্ধের সপ্তম দিনে ইউক্রেনের (Ukraine) ওপরে রাশিয়ার (Russia) চাপ আরও বাড়ছে। সরকার বদলের প্রস্তাব দিয়েছে রাশিয়া। জেলেনস্কিকে সরিয়ে পূর্বতন প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচকে প্রেসিডেন্টের পদে আনার প্রস্তাব দিয়েছে মস্কো।