সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মঙ্গলবার ইস্তানবুলে বৈঠকে বসেন ইউক্রেন (Ukraine) ও রাশিয়ার কূটনীতিকরা। তারপরই কিয়েভে বড় আকারে সেনা তৎপরতা কমানোর ঘোষণা করে মস্কো। ফলে যুদ্ধ থামতে চলেছে বলেই মনে করছিলেন অনেকে। কিন্তু উদ্বেগ বাড়িয়ে আমেরিকার দাবি, রাশিয়ার সেনা তৎপরতা কমানোর দাবি মিথ্যা। পালটা, নতুন করে সেনা সাজাচ্ছে মস্কো।
[আরও পড়ুন: ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে ভারতে আসছেন রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী! তুঙ্গে জল্পনা]
রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে মঙ্গলবার এক বিবৃটি দিয়েছেন পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি জন কিরবি। তাঁর দাবি, কিয়েভের আশপাশ থেকে মোটেও সেনা সরাচ্ছে না রাশিয়া। বরং অবস্থান বদলে নতুন করে সেনা সাজাচ্ছে তারা। এদিন কিরবি বলেন, “কিয়েভ দখলে ব্যর্থ হয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেনকে পরাজিত করতেও অসফল তারা। কিন্তু এখনও দেশটির ভয়ানক ক্ষতি করতে পারে রাশিয়া। গতকাল কিয়েভের থেকে কিছুটা দূরে চলে গিয়েছে রুশ ফৌজের কয়েকটি ইউনিট। তবে সেই সংখ্যা খুবই কম। কিন্তু আমরা মনে করছি, এটা সেনা প্রত্যাহার নয়। আসলে রাশিয়া নতুন করে সেনাবাহিনীর অবস্থান সাজাচ্ছে। এবং শীঘ্রই ইউক্রেনের অন্য অঞ্চলে বড়সড় আক্রমণ চালাতে পারে রুশ ফৌজ।”
উল্লেখ্য, ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই দুই পক্ষকে আলোচনার টেবিলে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তুরস্ক। সম্প্রতি সেই প্রক্রিয়া কিছুটা আশা জাগিয়েছে। গতকাল ইস্তানবুলে ইউক্রেন এবং রাশিয়ান কূটনীতিকদের মধ্যে আলোচনায় আংশিক ভাবে সফল হয়েছে বলে সূত্রের খবর। বৈঠকের পরই ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ এবং চেরনিহিভ থেকে সেনা তৎপরতা কমানোর কথা ঘোষণা করেন রাশিয়ার উপ-প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আলেকজান্ডার ফোমিন। ভবিষ্যতে আলোচনার জন্য পারস্পরিক বিশ্বাস বাড়িয়ে তুলতেই এই পদক্ষেপ বলে দাবি করেন তিনি। ওই বৈঠক শেষে আলোচনা যে ইতিবাচক হয়েছে সেই ইঙ্গিত দেন তুরস্কের বিদেশমন্ত্রী মেভলুট কাভাসাগলু।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে রাশিয়া দাবি করে যে ইউক্রেনে প্রথম পর্যায়ের সামরিক অভিযান প্রায় সমাপ্ত। এবার ডনবাস অঞ্চলকে সম্পূর্ণ স্বাধীন করার লক্ষ্যেই ঝাঁপাবে মস্কো। এই বিষয়ে রাশিয়ার (Russia Crisis) জেনারেল স্টাফের প্রধান সের্গেই রুডস্কোই জানান, প্রথম পর্যায়ের সামরিক অভিযান প্রায় শেষের দিকে। অধিকাংশ লক্ষ্যই পূরণ হয়েছে। এবার পরবর্তী লক্ষ্যের জন্য প্রস্তুতি শুরু হবে। পরবর্তী লক্ষ্য কী, সেটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। ‘ডনবাস’ এলাকাকে স্বাধীন করা। ইতিমধ্যে রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ডোনেৎস্কের (Donetsk region) ৫৪ শতাংশ এবং লুহানস্কের (Luhansk Region) ৯৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করছে। দু’টি এলাকাকে নিয়ে গঠিত ‘ডনবাস’। এই এলাকাকে ইউক্রেনের শাসন থেকে মুক্ত করা, স্বাধীনতা দেওয়াই লক্ষ্য রাশিয়ার।