সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সমুদ্রে ভেঙে পড়ল রাশিয়ার (Russia) যাত্রীবাহী বিমান। ওই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে অভিশপ্ত বিমানটির ২৮ জন যাত্রীরই বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
[আরও পড়ুন: আসছে তালিবান! আফগানিস্তান থেকে নাগরিকদের ফিরিয়ে আনতে চলেছে ভারত]
রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা তাস সূত্রে খবর, আন্তনোভ-২৬ বিমানটি মঙ্গলবার পেট্রোপাভলোভস্ক-কামচাটস্কি থেকে পালানায় যাচ্ছিল। পালানায় নামার কিছুক্ষণ আগেই বিমানটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের। ৬ বিমানকর্মী এবং দুই শিশু-সহ মোট ২৮ জন ছিলেন বিমানে। দুর্ঘটনায় সবার মৃত্যু হয়েছে। সমুদ্রে বিমানটির ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। উল্লেখ্য, এয়ার ট্রাফিক ব্যবস্থার জন্যে এর আগেও বেশ কয়েকটি বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে রাশিয়ায়। তবে সম্প্রতি সেই ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ করেছে রাশিয়া। এর ফলে বিমান দুর্ঘটনা কিছুটা হলেও কমে যায়। শেষবার ২০১৯ সালে বড় কোনও বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছিল সে দেশে। এদিকে পালানার আবহাওয়ার জেরে বা অন্য কোনও কারণে এই বিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়ল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে এমএইচ-১৭ বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছিল গোটা বিশ্বে, শিরোনামে উঠে এসেছিল রাশিয়ার নাম। ওই ঘটনার তদন্তকারীদের অভিযোগ, মালয়েশিয়ার যাত্রীবাহী বিমান এমএইচ-১৭ ধ্বংসের নেপথ্যে রয়েছে রাশিয়ার সেনাবাহিনী। তাঁদের দাবি, যে মিসাইলের আঘাতে বিমানটি খণ্ড-বিখণ্ড হয়ে যায় সেটি সরবরাহ করেছিল রুশ সেনার একটি মিসাইল ইউনিট। ২০১৪ সালের জুলাই মাসে অ্যামস্টারডাম থেকে কুয়ালালামপুরগামী এমএইচ-১৭ যাত্রীবাহী বিমানটির উপর মিসাইল হামলা হয়। পূর্ব ইউক্রেনে ভেঙে পড়ে বিমানটি। ওই ঘটনায় নিহত হন ২৯৮ জন যাত্রী ও চালকদের সবাই। ওই ঘটনায় তীব্র নিন্দার ঝড় বয়ে যায় বিশ্বজুড়ে। অভিযোগ উঠে রাশিয়ার বিরুদ্ধে। দাবি করা হয়, ইউক্রেনে রুশপন্থী বিদ্রোহীরাই এই কাজ করেছে। তবে ইউক্রেন ও ইউরোপীয় দেশগুলির এই অভিযোগ খারিজ করে দেয় মস্কো। তবে ঘটনাস্থলে তদন্ত চালিয়ে ডাচ বিশেষজ্ঞরাও বলেছিলেন যে তারা ঘটনাস্থলে এমন কিছু টুকরো পেয়েছেন যা সম্ভবত রাশিয়ায় তৈরি ‘বাক’ জাতীয় ভূমি-থেকে-আকাশে হামলায় সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্রের টুকরো।