সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্রিকস সম্মেলনে আসছেন না রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এমনটাই জানিয়েছে আয়োজক দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা। দেশটির প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার দপ্তর জানিয়েছে, রুশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন সে দেশের বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই প্রশ্ন উঠছে, ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে কেন এহেন গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলনে যাচ্ছেন না পুতিন?
ব্রাজিল, রাশিয়া, চিন, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারতকে নিয়ে গঠিত ব্রিকস গোষ্ঠী (BRICS)। এবছর দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত হতে চলেছে জোটের পঞ্চদশ সম্মেলন। চলবে ২২ থেকে ২৪ আগস্ট পর্যন্ত। প্রথামাফিক, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয় পুতিনকে। এতেই ঘনিয়েছে বিতর্ক। পুতিনের প্রেপ্তারির দাবিতে সরব হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে বড় বিরোধী দল ‘ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স’। তাদের সাফ কথা, ব্রিকস সম্মেলনে অংশ নিতে এলে পুতিনকে গ্রেপ্তার করতে হবে। এই প্রেক্ষাপটে প্রেসিডেন্ট রামাফোসার দপ্তর জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট পুতিন আসবেন না। পরিবর্তে রুশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ।
কেন উঠছে পুতিনকে গ্রেপ্তার করার দাবি? ইউক্রেন যুদ্ধে শিশু অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে অভিযুক্ত রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। এই মামলায় গত মার্চ মাসে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। তখন থেকেই প্রশ্ন উঠেছে, আদপে কি গ্রেপ্তার করা যাবে পুতিনকে?
[আরও পড়ুন: নিখোঁজ চিনের বিদেশমন্ত্রী! কোথায় কিন গ্যাং? তুঙ্গে জল্পনা]
বিশেষজ্ঞদের মতে, রাশিয়া ও ইউক্রেন কোনও দেশই আইসিসির সদস্য নয়। তবে আইসিসির অন্তর্ভুক্ত ১২৪টি দেশের যে কোনও দেশে পুতিন গেলেই তিনি গ্রেপ্তার হতে পারেন। খাতায় কলমে তেমন সম্ভাবনা নিশ্চয়ই রয়েছে। এবং দক্ষিণ আফ্রিকাও আইসিসি সদস্য। কিন্তু আইসিসির নিজস্ব কোনও পুলিশ বাহিনী না থাকায় পুতিনকে গ্রেপ্তার করতে হবে সেই দেশগুলির পুলিশকেই। যা সচরাচর দেখা যায় না। পুতিন একটি রাষ্ট্রের প্রধান। কূটনৈতিক দিক দিয়ে দেখলে তিনি কোনও দেশে এলে তাঁকে সেই দেশের পুলিশের পক্ষে গ্রেপ্তার করা তাই কার্যত অসম্ভব।