সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ”মা আমি ইউক্রেনে (Ukraine)। সত্যি সত্যি যুদ্ধ চলছে এখানে। আমি ভীত। আমরা সমস্ত শহরে একসঙ্গে বোমা ফেলে চলেছি। এমনকী, সাধারণ নাগরিকদেরও টার্গেট করা হচ্ছে।” এটাই ছিল এক রুশ (Russia) সেনার শেষ বার্তা। ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে (Russia-Ukraine war) শহিদ হয়েছেন সেই সেনা। তাঁর এই শেষ বার্তা ঘিরে শোরগোল। যা পরিষ্কার করে দিচ্ছে যুদ্ধের আসল ছবিটা।
মঙ্গলবারই খারকভে বোমাবর্ষণে মৃত্যু হয়েছে উত্তর কর্ণাটকের নবীন নামে এক ডাক্তারি পড়ুয়ার। যা প্রকট করে দিয়েছে এই যুদ্ধে কীভাবে সাধারণ মানুষদের বিপন্ন হতে হচ্ছে। এবার মৃত রুশ সেনার শেষ বার্তাও সেই ছবিটাকেই আরও পরিষ্কার করে দিল।
[আরও পড়ুন: শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে ভারত, রাষ্ট্রসংঘে রাশিয়া ও ইউক্রেনকে হিংসা থামানোর বার্তা নয়াদিল্লির]
জানা গিয়েছে, ওই রুশ সেনার মা তাঁর ছেলেকে মেসেজ করে জানতে চেয়েছিলেন কেন কোনও বার্তার উত্তর দিতে এত দেরি হচ্ছে ওই তরুণের। তখনই নিজের দুরবস্থার কথা জানিয়ে বার্তা পাঠান রুশ সৈন্য। জানিয়েছিলেন, ”আমাদের বলা হয়েছিল ওরা (ইউক্রেনীয়রা) আমাদের স্বাগত জানাবে। কিন্তু ওরা আমাদের সাঁজোয়া গাড়ির তলায় নিচেদের ছুঁড়ে দিচ্ছে। চাকার তলায় শুয়ে পড়ছে, যাতে আমরা এগোতে না পারি। ওরা আমাদের ফ্যাসিবাদী বলে ডাকছে।”
মা ও ছেলের কথোপকথনের প্রসঙ্গ তুলেই যুদ্ধের ভয়াবহতা সম্পর্কে বিশ্বকে অবগত করেছেন রাষ্ট্রসংঘের ইউক্রেনীয় প্রতিনিধি। জানিয়েছেন, এই বার্তা থেকে ইউক্রেনের মর্মান্তিক পরিস্থিতি স্পষ্ট হয়ে উঠছে।
[আরও পড়ুন: এবার কি রাশিয়ায় হামলার ছক আমেরিকার? মার্কিনিদের দ্রুত দেশে ফেরার নির্দেশ]
এদিকে, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচ নামের দুই মানবাধিকার সংগঠন দাবি করেছে, ইউক্রেনে নিষিদ্ধ ক্লাস্টার বোমা ব্যবহার করছে রুশ ফৌজ। সাধারণত, বিমান থেকে ছোঁড়া হয় ক্লাস্টার বোমা। এমন একটি বোমার পেটের মধ্যে থাকে বেশ কয়েকটি ছোট বোমা। বিমান থেকে ছোঁড়ার পর মূল বোমার পেট থেকে বেরিয়ে বিরাট এলাকায় ছড়িয়ে পরে বিস্ফোরকগুলি। স্টিলের টুকরোর আঘাতে মুহূর্তে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় মানুষ থেকে বাড়িঘর। এহেন ভয়াবহ পরিণতির জন্য বহু দেশই মানবিকতার খাতিরে ক্লাস্টার বোমা ব্যবহার করে না। কিন্তু এবারের লড়াইয়ে রাশিয়া নাকি কোনও হাতিয়ার ব্যবহারেই পিছপা হচ্ছে না।