সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আবারও রুশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ‘ডুমা’র দখল নিল পুতিনপন্থী তথা দেশের বর্তমান শাসকদল ‘ইউনাইটেড রাশিয়া’। গত শুক্রবার অর্থ ১৭ সেপ্টেম্বর ‘ডুমা’র ৪৫০টি আসনে নির্বাচন শুরু হয়। চলে তিনদিন ধরে। সোমবার আংশিক ফল প্রকাশের পর দেখা গিয়েছে ক্ষমতা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে শাসকদল।
[আরও পড়ুন: তালিবানের অন্দরে ক্ষমতা দখলের লড়াই, বরাদরকে ঘুসি হাক্কানির, প্রাসাদে গুলিবৃষ্টি]
বিশ্লেষকদের ধারণা ও বুথ ফেরত সমীক্ষা সত্যি করে ক্ষমতায় এলেও নির্বাচনে কারচুপি-সহ বিরোধীদের কন্ঠরোধের অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের বিরুদ্ধে। ডুমার মোট আসনের তিন-চতুর্থাংশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সমর্থক ‘ইউনাইটেড রাশিয়া’ দলটির দখলে। তাদের সাহায্যেই ক্রেমলিন গত বছর এমন এক আইন পাশ করেছিল জার ফলে আরও দু’দফায় প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন পুতিন। অর্থাৎ, চাইলে ২০৩৬ পর্যন্ত মসনদে থাকতে পারবেন তিনি। আর এবারেও শাসকদলের জয় হওয়ায় পুতিনের আসন আরও মজবুত হয়েছে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এই মুহূর্তে আংশিক ফলাফল স্পষ্ট করে দিচ্ছে যে আগামীদিনে পুতিনকে টেক্কা দেওয়ার মতো এই মুহূর্তে রুশ রাজনীতিতে কেউ নেই।
‘ইউনাইটেড রাশিয়া’র এই জয়ের নেপথ্যে ক্রেমলিনের দমন-পীড়ন নীতি রয়েছে বলে অভিযোগ। আগেই প্রধান বিরোধী নেতা তথা পুতিনের প্রবল সমালোচক আলেক্সেই নাভালনিকে দুর্নীতির দায়ে জেলবন্দি করা হয়েছে। তাঁর দলের অন্য নেতাদের নির্বাচনে লড়াও বন্ধ করে দিয়েছে মস্কো। তবুও মরিয়া হয়ে জেলের ভিতরে থেকেই একটি ‘স্মার্ট ভোটিং অ্যাপ’ তৈরি করেছিলেন নাভালনি। কিন্তু কয়েকদিন আগেই ক্রেমলিনের চাপে সেই অ্যাপটি তাদের ‘ই-স্টোর’ থেকে সরিয়ে নেয় অ্যাপল ও গুগল। এছাড়া, এবার কোনও নজরদারি সংস্থাকে ভোট পর্যবেক্ষণের সুযোগ দেওয়া হয়নি।
এদিকে, সুষ্ঠুভাবে ডুমার নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার জন্য ভারতকে ধন্যবাদ জানিয়েছে রাশিয়া। বলে রাখা ভাল, ভারতে থাকা রুশ নাগরিকরা যাতে তাদের ‘ডুমা’র নির্বাচনে ভোট দিতে পারেন তার জন্য ভারতের বেশ কয়েকটি জায়গায় ভোটগ্রহণ কেন্দ্র তৈরি করেছে রাশিয়া। কোভিড প্রটোকল মেনেই সেখানে ভোট নেওয়া হয়।