সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইহুদি বনাম আরব সংঘাত নতুন কিছু নয়। হিংস্র পশুর মতো নখ-দাঁত বের করে অতীতেও বহুবার ময়দানে মুখোমুখি হয়েছে দুপক্ষ। তবে ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে হামাসের ইজরায়েল আক্রমণ কি ধোঁকার টাটি? ভূমধ্যসাগর সৈকতে কি আমেরিকাকে বিপাকে ফেলতে ফাঁদ পেতেছে রাশিয়া?
এক রিপোর্ট মোতাবেক, ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধে এবার আসরে নেমেছে রাশিয়ার কুখ্যাত ভাড়াটে বাহিনী ‘ওয়াগনার গ্রুপ‘ (Wagner Group)। লেবাননের শিয়া জঙ্গি সংগঠন হেজবোল্লাকে অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র দিতে চলেছে তারা। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমস-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন মোতাবেক হেজবোল্লাকে অত্যাধুনিক SA-22 মিসাইল সিস্টেম দেওয়ার পরিকল্পনা করছে ওয়াগনার। এনিয়ে হেজবোল্লার সামরিক শাখার সঙ্গে কথাবার্তাও এগিয়ে গিয়েছে অনেক দূর।
[আরও পড়ুন: ‘গোটা গাজা ঘিরে ফেলেছি’, হুঙ্কার ইজরায়েলের, মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ৯ হাজার]
বলে রাখা ভালো, SA-22 বা Pantsir-S1 মিসাইল সিস্টেমটি মূলত যুদ্ধবিমান ধ্বংসের কাজে ব্যবহার করা হয়। ট্রাকে করে দ্রুত এই হাতিয়ার বহন করা যায়। রাশিয়ায় তৈরি ‘সারফেস টু এয়ার’ এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা প্রায় ৭৫ কিলোমিটার দূর থেকেই শত্রুর বিমানের হদিশ পেয়ে যায়। ২০ থেকে ৪০ কিলোমিটারের মধ্যেই খতম করে দেওয়া যায়।
উল্লেখ্য, নানা ক্যালিবার এবং দূরপাল্লার রকেটের পাশাপাশি, হেজবোল্লার হাতে রয়েছে ‘গাইডেড’ মিসোইল! লুপ্ত সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং তার উত্তরসূরি রাশিয়ার তৈরি একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং রকেট রয়েছে সেই তালিকায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহৃত রুশ রকেট কাত্যিউশা এবং তার পরবর্তী সংস্করণ বিএম-২১ গ্রাদ হেজবোল্লার অন্যতম শক্তি।
বিশ্লেষকদের মতে, হামাসকে মদত জোগাচ্ছে ইরান, চিন ও রাশিয়া। ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে মধ্যপ্রাচ্যে সেকেন্ড ফ্রন্ট খুলতে হামাসকে ব্যবহার করছে মস্কো। আমেরিকাকে চাপে ফেলে ইউক্রেনে কিছুটা চাপমুক্ত হওয়ার জন্যই এই ছক কষেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। লেবাননে ঘুঁটি সাজাচ্ছে ইরান। অন্যদিকে, তাইওয়ানের কাছে মহড়া চালিয়ে তৃতীয় ফ্রন্ট খোলার সম্ভাবনা জিইয়ে রেখেছে চিন। সব মিলিয়ে, আমেরিকাকে চক্রব্যুহতে বিভ্রান্ত করে কোণঠাসা করার খেলায় মেতেছে ইরান-চিন-রাশিয়া অক্ষ।