সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের চিন ইস্যুতে মোদি (Narendra Modi) সরকারের নিশানায় প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু। এবার নেহরুকে কাঠগড়ায় তুললেন বিদেশমন্ত্রী সুব্রহ্মণ্যম জয়শংকর। বিদেশমন্ত্রীর বক্তব্য, চিন নিয়ে অবাস্তব রোমান্টিকতা ছিল নেহরুর। বাস্তবটা কখনও বোঝেননি প্রথম প্রধানমন্ত্রী।
এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিদেশমন্ত্রী বলেন,”গত ৭৫ বছরের ভারত-চিন সম্পর্কে একাধিক অধ্যায় আছে। একটা অধ্যায় বাস্তববোধ সম্পন্ন। আরেকটা অধ্যায় রোম্যান্টিসিজমে ভরা, বাস্তববোধহীন। এই রোম্যান্টিসিজম এবং বাস্তব বোধহীনতা শুরু হয়েছিল স্বাধীনতার পর প্রথম দিন থেকেই। চিনকে কীভাবে সামলাতে হবে সেটা নিয়ে নেহরু এবং প্যাটেলের মধ্যে বিস্তর মতবিরোধ ছিল। নেহেরুর চিন নীতির তীব্র বিরোধী ছিলেন সর্দার প্যাটেল (Sardar Patel)। আজ মোদি সরকার অনেকটা বাস্তবোচিত পদক্ষেপ করছে। যেটা শুরু করতে চেয়েছিলেন সর্দার প্যাটেল।”
[আরও পড়ুন: বগটুইয়ের ভাদু শেখ খুনে অভিযুক্ত ছোট লালনের মৃত্যু]
জয়শংকরের স্পষ্ট বক্তব্য, নেহরুর চিনের প্রতি অহেতুক দুর্বলতা ছিল। যা বারবার প্রকাশ পেয়েছে। যা বারবার ভারতের ক্ষতি করে গিয়েছে। তিনি বলছেন, নেহরুর ‘চায়না ফার্স্ট’ নীতির জন্যই রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদ চলে গিয়েছে চিনের হাতে। শেষে পর্যন্ত ওই ‘চায়না ফার্স্ট’ নীতিই ভারতকে ডুবিয়ে ‘চিন্ডিয়া’তে পরিণত করেছে। জয়শংকরের বক্তব্য, “আজকের দিনে দাঁড়িয়ে অতীতে তাকালে সত্যিই বুঝতে পারি না পঞ্চশীল নীতির প্রয়োজনীয়তা কী ছিল?”
[আরও পড়ুন: পাঞ্জাব-মহারাষ্ট্রে পেট্রল পাম্পে লম্বা লাইন, জ্বালানি সংগ্রহে মরিয়া মানুষ, কেন?]
বিদেশমন্ত্রীর দাবি, নেহেরুর অবাস্তব নীতি খারিজ করে দিয়ে মোদি সরকার বাস্তবের মাটিতে দাঁড়িয়ে চিনের সঙ্গে একটা সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করছে। ভারত চিনের দিকে ঝুঁকে পড়েনি। আমরা যে সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করছি সেটা পারস্পারিক। যদি পারস্পারিক সহযোগিতা না তৈরি হয়, ভারত-চিন সম্পর্ক এগোবে না। আমাদের সমস্যা হল ২০২০ সালে গালওয়ানে (Galwan) সব নীতি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তাই আগামী দিনে দুদেশের সম্পর্ক অনেকটা নির্ভর করছে চিনের উপর। অর্থাৎ ২০২০ সালের গালওয়ান বা তাঁর আগে বা পিছনে চিনের যে বাড়বাড়ন্ত, এসবের দায় ঘুরিয়ে নিজেদের ঘাড় থেকে ঝেড়ে ফেললেন বিদেশমন্ত্রী।