সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যে ইজরায়েল-ইরান সংঘাত চরমে পৌঁছেছে। পক্ষে ও বিপক্ষে পার্শবর্তী দেশগুলিতেও যুদ্ধের মেঘ ঘনাতে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। তেমন হলে গোটা বিশ্বের আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এই অবস্থায় ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধ নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারত, মঙ্গলবার জানালেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। পাশাপাশি তিনি জানান, আলোচনা এবং কূটনীতির মাধ্যমে শান্তি প্রক্রিয়ায় যুক্ত হতে পারে দিল্লি।
বর্তমানে মার্কিন সফরে ওয়াশিংটনে রয়েছেন জয়শংকর। সেখানে এক আলাপচারিতায় তিনি বলেন, "কঠিন সময়ে পারস্পরিক যোগাযোগ তথা সম্পর্কের গুরুত্বকে ছোট করা যাবে না। যদি কিছু বলার থাকে, যদি কোনও ভাবে কাজে আসি আমরা, তবে সেটা করব।" বিদেশমন্ত্রী আরও বলেন, "শুধু লেবাননে যা ঘটেছে তাই নয়, হুথি, লোহিত সাগর, ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে যে সংঘাত চলছে তার ভবিষ্যত নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।"
জয়শংকর যুদ্ধে সাধারণ নাগরিকদের উপর হামলা তথা মানবিকতা আইন লঙ্ঘনের প্রসঙ্গেও কড়া মতামত দেন। বলেন, "৭ অক্টোবরে জঙ্গি হামলা হয়েছিল বলেই মনে করি আমরা। বুঝি যে ইজরায়েলকে জবাব দিতে হত। কিন্তু এটাও বিশ্বাস করি যে কোনও দেশের প্রতিক্রিয়া যেন আন্তর্জাতিক মানবিকতা আইনকে বিবেচনায় রেখেই হয়। সাধারণ নাগরিকদের যাতে ক্ষতি না হয়, সেই বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে আমাদের। এই বিষয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে উদ্যোগ নিতে হবে।"
প্রসঙ্গত, হেজবোল্লা প্রধান হাসান নাসরাল্লার মৃত্যুর বদলা নিতে মঙ্গলবারই ইজরায়েলে প্রায় ৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। তেল আভিভে সশস্ত্র জঙ্গি হামলা হয়েছে বলেও খবর। পালটা নেতানিয়াহুর হুঙ্কার দিয়েছেন, ‘এই ভুলের মূল্য চোকাতে হবে ইরানকে’। আমেরিকাও ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে। সব মিলিয়ে মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধের আগুন বাড়ছে। উদ্বিগ্ন গোটা শান্তিকামী মানুষ।
এদিকে ইজরায়েল-ইরান সংঘাতের জেরে ভারতীয় নাগরিকদের উদ্দেশে নির্দেশিকা জারি করল দিল্লি। ওই নির্দেশিকায় যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ইরান যেতে বারণ করা হয়েছে ভারতীয়দের। পাশাপাশি ইরানে থাকা ভারতীয়দের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। তেহরানের দূবাসের সঙ্গে যোগযোগ রাখতে বলা হয়েছে।