সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউক্রেনের অধিকৃত অঞ্চলে গণভোট করিয়েছে রাশিয়া। এহেন পরিস্থিতিতে ভারতের অবস্থান কী হতে চলেছে, তা নিয়ে কৌতূহল রয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে। গণভোট নিয়ে এবার মুখ খুললেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। প্রসঙ্গত, রাশিয়ার আয়োজিত গণভোটে ভারতের পর্যবেক্ষক উপস্থিত ছিলেন, এমন খবর ছড়িয়ে পড়েছিল। সেই বিতর্কের আবহে জয়শংকর বলেছেন, রাষ্ট্রসংঘে নিযুক্ত ভারতীয় দূত এই বিষয়ে সমস্ত কথা বলবেন। ততক্ষণ পর্যন্ত ধৈর্য ধরতে অনুরোধ করেছেন তিনি।
আমেরিকার বেশ কয়েকজন মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করতে সেদেশে গিয়েছিলেন জয়শংকর। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেছেন, “এই বিষয়টি নিয়ে অবশ্যই আমরা ভাবনা চিন্তা করছি। আমি মনে করি রাষ্ট্র সংঘেও এই বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। সেখানে ভারতের দূত কী বলেন, তার জন্য আপনাদের অপেক্ষা করা উচিত।” তবে রাশিয়ার গণভোটে ভারতের অংশগ্রহণ করা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি তিনি।
[আরও পড়ুন: ইরাকে ভয়াবহ হামলা ইরানের, মৃত অন্তত ১৩, বিক্ষোভ থেকে নজর ঘোরাতে যুদ্ধের আশ্রয়!]
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মেটানোর কথা বলা হয়েছিল ভারতের তরফে। দুই দেশ যেন একে অপরের ভৌগোলিক অখণ্ডতাকে সম্মান করে এমন কথাও বলেছে ভারত। কিন্তু ডনবাসে রাশিয়ার গণভোট করানোর অর্থ সেই অঞ্চলটিকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনার পথে একধাপ এগিয়ে যাওয়া। অর্থাৎ ভৌগলিক অখণ্ডতা নষ্ট করে দেওয়া। এহেন পরিস্থিতিতে কীভাবে কূটনৈতিক পদক্ষেপ করবে ভারত, সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে গোটা বিশ্ব।
কিছুদিন আগেই এসসিও সম্মেলনে গিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে মোদি বলেছিলেন, ”এটা যুদ্ধ করার সময় নয়।” আমেরিকা-সহ পশ্চিমী দেশগুলির কাছে যথেষ্ট প্রশংসিত হয়েছিল এই বক্তব্য। পুতিনও জানিয়েছিলেন, খুব তাড়াতাড়ি যুদ্ধ শেষ করে দেওয়ার পক্ষপাতী রাশিয়া। সেই কারণেই যুদ্ধের বদলে গণভোট করে ইউক্রেনকে দুর্বল করতে চাইছে রাশিয়া। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, গণভোটে বিপুল সাফল্য পেয়েছে রাশিয়া। এবার নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রেখে এগোতে পারবে ভারত? প্রশ্ন ওয়াকিবহাল মহলের।
[আরও পড়ুন:মুক্তকেশী হওয়ার শাস্তি! ইরানে ‘হিজাব-বিদ্রোহী’ তরুণীকে গুলি করে হত্যা]