সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিন (China) ও পাকিস্তানকে (Pakistan) কড়া বার্তা দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর (S Jaishankar)। শুক্রবার সাইপ্রাসে ভারতীয় সম্প্রদায়ের সঙ্গে কথা বলার সময় এই বিষয়ে মুখ খুলতে দেখা গেল তাঁকে। বিদেশমন্ত্রী পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন, ভারত প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক নিশ্চয়ই চায়। কিন্তু তার অর্থ এই নয়, সন্ত্রাসবাদ থেকে নজর সরিয়ে নেওয়া। নাম না করলেও তিনি যে পাকিস্তানকে বিঁধলেন তা স্পষ্ট। পাশাপাশি চিনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি জানালেন, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পরিবর্তন করার কোনও মতলবই ভারত সফল হতে দেবে না।
ঠিক কী বলেছেন বিদেশমন্ত্রী? তাঁর কথায়, ”সন্ত্রাসবাদের কবলে পড়ে আর কোনও দেশকে এমন ভুগতে হয়নি যতটা আমাদের হচ্ছে। এবং আমরা পরিষ্কার বলে দিতে চাই এটা আমরা কখনওই মেনে নেব না। আমাদের আলোচনার টেবিলে বসানোর জন্য সন্ত্রাসবাদকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহারও করতে দেব না। আমরা অবশ্যই ভাল প্রতিবেশী হতে চাই। কিন্তু তার মানে এই নয় যে সন্ত্রাস থেকে নজর সরিয়ে নেব।”
[আরও পড়ুন: দীর্ঘদিন পর ক্ষুদ্র সঞ্চয়ে বাড়ল সুদের হার, তবে প্রত্যাশা পূরণ হল কি?]
পাশাপাশি সীমান্ত সমস্যা নিয়ে তিনি বলেন, ”সীমান্তের সমস্যা কোভিডের সময় বেড়েছে। আপনারা সকলেই জানেন চিনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক স্বাভাবিক নয়। কেননা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পরিবর্তন করার কোনও মতলবই আমরা সফল হতে দেব না।”
প্রসঙ্গত, গত ৯ ডিসেম্বর তাওয়াংয়ে ভারত ও চিন সেনার মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার পরেই দুই দেশের মধ্যে সামরিক তৎপরতা বেড়ে যায়। একাধিক বায়ুসেনাকে ঘাঁটিতে সতর্কতা জারি করা হয়। সুখোই, রাফালের মতো যুদ্ধবিমান মোতায়েন করা হয় চিন সীমান্তে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর মহড়ার মাত্রা বাড়িয়ে দেয় বায়ুসেনা। তাওয়াং এলাকা থেকে পর্যটকদের সরিয়ে দেওয়া হয়। অন্যদিকে, একাধিক উপগ্রহচিত্র থেকে দেখা যায়, ভারতের সঙ্গে সীমান্তে বিপুল পরিমাণে অস্ত্র মোতায়েন করেছে চিন। লাদাখ নিয়ে বৈঠক হলেও উত্তর-পূর্বের উত্তেজনা থামবে কিনা, সেই প্রশ্নের উত্তর অধরাই। এই পরিস্থিতিতে জয়শংকরের মন্তব্যকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।