সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘে (United Nations) এবার সরাসরি কানাডাকে (Canada) তোপ দাগলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর (S Jaishankar)। তিনি বলেন, গত কয়েক বছরে কানাডায় বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তির মদতে অপরাধ ঘটেছে। এই সমস্ত অপরাধ আটকাতে ভারত সরকার অনেক তথ্য দিয়ে কানাডাকে সাহায্য করেছে, দুষ্কৃতীদের প্রত্যর্পণের দাবিও জানিয়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক কারণে এই বিষয়গুলো নিয়ে মাথা ঘামায়নি কানাডার প্রশাসন।
মঙ্গলবার নাম না করে কানাডাকে বার্তা দিয়েছিলেন বিদেশমন্ত্রী। তবে পরের দিন সোজাসুজি কানাডার নাম করেই কড়া বার্তা দেন জয়শংকর। রাষ্ট্রসংঘের ‘ডিসকাশন অ্যাট কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনস’ চলাকালীন বক্তৃতা দিতে গিয়ে বিদেশমন্ত্রী বলেন, “গত কয়েক বছরে কানাডায় পরিকল্পিতভাবে অপরাধের সংখ্যা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। বিচ্ছিন্নতাবাদ, উগ্রপন্থার কারণেই এই অপরাধ। কানাডা থেকে কী কী অসামাজিক কার্যকলাপ চলে সেই নিয়ে প্রচুর তথ্য দিয়েছি আমরা। জঙ্গি নেতাদের চিহ্নিত করে প্রত্যর্পণ করতেও অনুরোধ জানানো হয়েছে।”
[আরও পড়ুন: পরিচ্ছন্নতার বার্তা দিয়ে হাওড়া থেকে ছুটবে স্পেশাল ট্রেন, সাফাইয়ের কাজে আহ্বান যাত্রীদেরও]
বিদেশমন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক কারণেই ভারতের অনুরোধ উড়িয়ে দিয়েছে কানাডার প্রশাসন। সেই বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন ভারত। সেই সঙ্গে কানাডায় বসবাসকারী ভারতীয় কূটনীতিকদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিদেশমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, বেশ কয়েকদিন ধরেই আক্রমণের মুখে পড়েছেন ভারতের কূটনীতিকরা। সোশাল মিডিয়ায় তাঁদের প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়েছে। কানাডার রাজনীতিবিদদের মদতে এই হামলা হতে পারে বলেও অনেকের অনুমান। তিনি বলেন, খলিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জর খুনে ভারতের হাত রয়েছে কিনা সেই নিয়ে তথ্য পেশ করুক কানাডা। ভারত সরকার সেই তথ্য অবশ্যই বিবেচনা করে দেখবে। প্রসঙ্গত, ভারতের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আনলেও এখনও কোনও প্রমাণ পেশ করতে পারেনি কানাডা।
নিজের দেশের সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau) সাফ জানান, কানাডার নাগরিক খলিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের খুনের নেপথ্যে ভারতীয়দের (India) হাত থাকতে পারে বলেই সেদেশের তদন্তকারীদের অনুমান। এই দাবির পক্ষে প্রমাণ মিলেছে বলেও জানান কানাডার প্রধানমন্ত্রী। তার পরেই কানাডার বিদেশমন্ত্রী জানিয়ে দেন, কানাডায় নিযুক্ত ভারতীয় কূটনীতিকদের মধ্যে অন্যতম প্রধান এক আধিকারিককে বহিষ্কার করা হয়েছে। কানাডার এহেন অভিযোগের পালটা জবাব দিয়ে কানাডার এক কূটনীতিককে পাঁচদিনের মধ্যে দেশে ফিরতে নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি। তারপর থেকেই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে।