সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাদাখ সীমান্তে সংঘাতের আবহেই চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন এস জয়শংকর (S Jaishankar)। উজবেকিস্তানে এসসিও (SCO) সদস্যভুক্ত দেশগুলির বিদেশমন্ত্রীদের সম্মেলন শুরু হবে আজ বৃহস্পতিবার। সেখানে এক মঞ্চে উপস্থিত থাকবেন পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রী বিলাবল ভুট্টো (Bilabal Bhutto) এবং জয়শংকর। সেই সম্মেলনের পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন ভারত এবং চিনের বিদেশমন্ত্রী (Wang Yi)। জয়শংকরের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন রাশিয়ার বিদেশ মন্ত্রীও সের্গেই লাভরভও।
গত ৭ জুলাই দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছিলেন জয়শংকর এবং চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই। সেখানেও সীমান্ত সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন দুই বিদেশমন্ত্রী। বৈঠকের পরে জয়শংকর জানিয়েছিলেন, “আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে সীমান্ত পরিস্থিতির প্রভাব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তাছাড়াও দুই দেশের পড়ুয়াদের সুযোগ সুবিধা এবং দুই দেশের বিমান পরিষেবা সম্পর্কে কথা হয়েছে।” জয়শংকর আরও জানিয়েছেন, ”ভারত-চিন সম্পর্ক তিনটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে, পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সংবেদনশীলতা ও পারস্পরিক স্বার্থ।”
[আরও পড়ুন: দ্রৌপদী মুর্মুকে ‘রাষ্ট্রপত্নী’ বলে কটাক্ষ! বিতর্কে অধীর, তীব্র আক্রমণে বিজেপি]
তারপরেই লাদাখ সীমান্তে সেনা কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক হয়। ১২ ঘণ্টা ধরে আলোচনা চললেও কোনও সমাধানসূত্র পাওয়া যায়নি। কিন্তু হট স্প্রিং এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে বেজিংকে চাপ দিয়েছে ভারত, এমনটাই জানা গিয়েছিল সূত্র মারফত। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই ভারতের সদ্য নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন চিনা প্রধানমন্ত্রী শি জিনপিং। একসঙ্গে কাজ করতে চেয়েও বার্তা দিয়েছেন তিনি। শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও। জানা গিয়েছে, এই সম্মেলনে বিলাবল উপস্থিত থাকলেও জয়শংকরের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
অনুমান করা যাচ্ছে, দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীর বৈঠকের পরেই আলোচনায় বসতে পারেন ভারত এবং চিনের রাষ্ট্রপ্রধানরাও। আগামী সেপ্টেম্বরে এসসিও সদস্য দেশগুলির প্রধানদের বৈঠক হতে চলেছে। জানা গিয়েছে, সেখানেই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসতে পারেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) এবং শি জিনপিং। ২০১৯-এর ১৩ নভেম্বরের পর থেকে দুই নেতার মধ্যে আর সরাসরি দেখা-সাক্ষাৎ হয়নি। তারপরেই লাদাখ সীমান্তে দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি হয়েছিল। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন মোদি।