শেখর চন্দ্র, আসানসোল: বৃষ্টিতে প্লাবিত বার্ণপুরের ত্রাতা হলেন যুব তৃণমূলের সভাপতি সায়নী ঘোষ (Saayoni Ghosh)। এলাকাবাসীর সমস্যার কথা জানতে পেরেই এগিয়ে আসেন। নিকাশির ব্যবস্থা করে ঘণ্টা খানেকের মধ্যে সমস্যার সমাধানও করে দেন।
ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোল দক্ষিণের সুভাষপল্লী ও নরসিংবাঁধ এলাকায়। এলাকাবাসীর দাবি, যখনই সায়নীকে ফোন করা হয়, তখনই তিনি সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা করে দেন। শুক্রবারও এই প্রথার অন্যথা হয়নি। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে প্লাবিত হয়েছিল পুরনিগমের ৭৭ নম্বর, ৭৯ নম্বর এবং ৮২ নম্বর ওয়ার্ডের রহমতনগর। সেই দুরবস্থা দূর করেন সায়নী। স্থানীয় বাসিন্দা ভোলা সিং জানান, স্থানীয় নালার জল উপচে শান্তিনগরের ওই এলাকার চারদিকে জল জমে গিয়েছিল। সমস্যার সমাধানের জন্য বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পলের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাতে কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ। এরপরই সায়নীর কানে খবর পৌঁছায়। নিজেই ফোন করে পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান যুব তৃণমূলের সভাপতি।
[আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বৈঠকেও গরহাজির ৩ BJP বিধায়ক, বনগাঁর দলীয় সংগঠন নিয়ে বাড়ছে চিন্তা]
সবটা জেনে আসানসোলের পুরপ্রশাসক অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়কে সরাসরি ফোন করেন সায়নী। এলাকায় পুরকর্মীদের পাঠিয়ে নিকাশির ব্যবস্থা করেন। ঘন্টাখানেকের মধ্যেই জল নেমে যায়। ঘরবন্দি মানুষ স্বস্তি পান। এদিকে এ বিষয়ে এলাকার বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পলের (AgnimItra Paul) বক্তব্য, “আমাকে কেউ ফোন করেননি। আমার ফোন সবসময় খোলা থাকে। বিষয়টি নজরে এলে তখনই ব্যবস্থা নিতাম যেমনটা নিয়েছি ওই একইদিনে ডিহিকা গ্রামে। সেখানে ঝড়ে বিধ্বস্ত গ্রামবাসীদের আমি ত্রিপল ও ত্রাণ দিয়ে এসেছি। তিনি বলেন তৃণমূল স্রেফ রাজনীতি করেন। এখানেও তাই করছে। জল সমস্যা নিয়ে পুরপ্রশাসকের কাছে গিয়েছিলাম। পরে তিনি আমার উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, ‘ওনাকে আসানসোলের ব্যাপারে ভাবতে হবে না। তৃণমূল সব ভাববে।’ একজন পুরপ্রশাসক হয়েও উনি তৃণমূল ছাড়তে পারেননি। এই ঘটনা ন্যাক্কারজনক। একইভাবে বলব যাঁরা আমার সম্পর্কে কথা বলছেন তাঁরা আমাকে ফোন করলেই এগিয়ে যেতাম। আসলে নোংরা রাজনীতি করতেই ওনারা এই কাজ করছেন।”