shono
Advertisement

জীবনের প্রিয়তম বস্তুটাই উধাও ক্রিকেট ঈশ্বরের

ঘন ক্রিকেট জঙ্গলে সেই করোটি-গুহার ডাক ছেড়ে কেমন আছেন তিনি নতুন জীবনে? যেখানে জীবনের প্রিয়তম বস্তুটাই উধাও৷ মঙ্গলবার দুপুরে মুম্বই ট্রাফিকে আটকে থাকা ঊর্ধ্বশ্বাস ব্যস্ততার শচীন তেণ্ডুলকর কথা বললেন গৌতম ভট্টাচার্য-র সঙ্গে৷   ইণ্টারভিউ দিতে দিতে পাগল হয়ে যাচ্ছি৷ ক্রমাগত ইন্টারভিউ চলছে ফিল্মের প্রোমোশনের৷ শুরু করলেন শচীন৷ তাই? হ্যাঁ, এখন এমন হচ্ছে যে প্রশ্ন করার […] The post জীবনের প্রিয়তম বস্তুটাই উধাও ক্রিকেট ঈশ্বরের appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 01:31 PM May 24, 2017Updated: 08:01 AM May 24, 2017

ঘন ক্রিকেট জঙ্গলে সেই করোটি-গুহার ডাক ছেড়ে কেমন আছেন তিনি নতুন জীবনে? যেখানে জীবনের প্রিয়তম বস্তুটাই উধাও৷ মঙ্গলবার দুপুরে মুম্বই ট্রাফিকে আটকে থাকা ঊর্ধ্বশ্বাস ব্যস্ততার শচীন তেণ্ডুলকর কথা বললেন গৌতম ভট্টাচার্য-র সঙ্গে৷

Advertisement

 

ইণ্টারভিউ দিতে দিতে পাগল হয়ে যাচ্ছি৷ ক্রমাগত ইন্টারভিউ চলছে ফিল্মের প্রোমোশনের৷
শুরু করলেন শচীন৷

তাই?

হ্যাঁ, এখন এমন হচ্ছে যে প্রশ্ন করার আগেই আমি উত্তর দিতে শুরু করে দিচ্ছি (হাসি)৷ পরপর বলে দিচ্ছি৷

ওকে৷ তাহলে আমাকে এমন কিছু বলুন যা এতগুলো ইন্টারভিউতে বলেননি৷

কী বলিনি? সত্যিই ভাবতে হবে (আবার হাসি)৷

আচ্ছা এটা নিশ্চয়ই কেউ জিজ্ঞেস করেনি যে ছবির প্রচারের জন্য আপনি কলকাতায় এলেন না কেন?

ইন্ডিয়াতে আমি কোথাও যাইনি৷ দিল্লিতে শুধু আর্মড ফোর্সেসের জন্য একটা শো ছিল৷ আর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম৷

কিন্তু কলকাতা তো আপনার ক্যাপটিভ অডিয়েন্সে ভর্তি৷ জাস্ট পা দিলে লোকে পাগল হয়ে যেত৷

আমাকে প্রোডাকশন টিম যা বলছে আমি তাই করছি৷ ওরা আমাকে দেশের বাইরে দুটো জায়গায় যেতে বলেছিল৷ সেই দুটো জায়গায় গেছি৷ লন্ডন আর দুবাই৷

একটা কথা বলুন৷ ফিল্ম যত শক্তিশালী মাধ্যমই হোক না কেন, শচীন তেণ্ডুলকরের জীবন কী করে ফুটিয়ে তুলবে? আপনি তো সেই ষোলো বছর বয়স থেকেই চলমান ফিল্ম৷

(একটু ভেবে, মৃদু হাসি) আপনারা অনেকে চবিবশ বছর আমায় কাছ থেকে দেখেছেন৷ তাঁদের মনে হতে পারে ফিল্ম আর নতুন কী দেখাবে? আমি একটু মজা করে মনে করিয়ে দিতে চাই, ওটা যা দেখেছিলেন সেটা ছিল রিয়েল লাইফ৷ এটা রিল লাইফ৷

বাহ, উত্তরটা খুব ভাল৷

আর একটা কথা বলি৷ এই ফিল্মেও অনেক কিছু পাবেন৷ অনেকগুলো ওয়ান্ডারফুল মোমেণ্টস আছে৷ আমার জীবনের চড়াই-উতরাই আছে৷ রুদ্ধশ্বাস  সব বাঁক আছে৷

উতরাই বললেন৷ গ্রেগ চ্যাপেল কি ছবিতে আছেন?

ইয়েস, মিস্টার গ্রেগ চ্যাপেল আছেন৷

ক্রিকেট ব্যাটের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক ছিল ভীষণ রোমাণ্টিক৷ আপনি একবার আমায় বলেছিলেন, ‘এটা আমার জীবনের সবচেয়ে দামি বস্তু৷’ আজ যখন তার সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে গেছে, সেই বিচ্ছেদবেদনা সহ্য করেন কী করে? এটা তো প্রায় তিরিশ-চল্লিশ বছর স্বামীর ঘর করার পর তার হঠাত্‍
চলে যাওয়া৷

ক্রিকেট ব্যাট আর হাতে নেই ঠিকই৷ কিন্তু ক্রিকেট তো আমার জীবন থেকে সরে যায়নি৷ আমার জীবনে যা যা ঘটে চলেছে, সবই তো ক্রিকেটকে কেন্দ্র করে৷ এখনও আমি ক্রিকেটের মধ্যে পুরো মাত্রায় রয়েছি৷ ভূমিকম্প হওয়ার পর দেখবেন মাঝে মাঝে কাঁপুনি হতেই থাকে৷ এটাও সেরকম৷ চলে গেছে, অথচ পুরোটা যায়নি৷

কিন্তু পুরো মাত্রায় থাকা আর ব্যাট হাতে থাকা, দুইয়ের মধ্যে তো প্রচুর তফাত৷ এই যে আইপিএল ফাইনালে আপনি অসহায়ের মতো ডাগআউটে বসে ছিলেন, মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ব্যাটিং বিপর্যয়ে কোনও সাহায্য করতে পারেননি৷ এটা কি খুব করুণ নয়?

দেখুন যবে থেকে ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম বল হয়েছে, তবে থেকে এভাবেই হয়ে এসেছে৷ প্লেয়ার এসেছে, চলে গেছে৷ যে ডাগআউটে প্যাড ছাড়া বসে রয়েছে, সে তো এটার সঙ্গে মানিয়েই রয়েছে৷ আপনি যে দিনের কথা বলছেন, সে দিন হেল্পলেসনেসের বেশি আমি বিউটি খুঁজে পেয়েছি৷ যখন ব্রেক হয় তখন আমরা দারুণ একটা মিটিং করি৷ করে গোটা টিমকে চাগাই যে, ঠিক আছে ফার্স্ট হাফ পুণে নিয়ে নিয়েছে৷ আমরা বাজে খেলেছি৷ কিন্তু সেকেন্ড হাফটা আসল৷ সেকেন্ড হাফেই আইপিএল চ্যাম্পিয়ন ঠিক হবে৷ ওটাই আমরা জিতব৷ ঠিক তাই হল৷

কিন্তু তাতে তো আপনার প্রত্যক্ষ যোগদান থাকল না৷ ভিভ রিচার্ডস একবার বলেছিলেন, গ্লেন ম্যাকগ্রার হাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ধবংস হতে দেখে তাঁর ভেতরটাও রক্তাক্ত হয়৷ নিজেকে মনে হতে থাকে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আর্মির পুরনো সেই মেজর যার আজ দেশের হয়ে মেশিনগান তোলার ক্ষমতা নেই৷

আমি জানি আপনি কী বলতে চাইছেন (গলায় কোথাও যেন আবেগ)৷ কিন্তু অনেক ম্যাচে তো আমি রানও পাইনি, এমনও তো হয়েছে৷ তখন তো বসে আমায় খেলাই দেখতে হয়েছে৷ বা টিম জেতার জন্য নির্ভর করতে হয়েছে অন্যদের ওপর৷ ব্যাট আর আমার কাছে নেই৷ সাড়ে তিন বছর
ধরেই নেই৷ ওই চ্যাপটারটা আমি আর খুলতে চাই না (আবার গলাটা অন্য
রকম শোনাচ্ছে)৷

আর একটা বহু দিনের কৌতূহল৷ এই যে জঙ্গলের যুদ্ধের ডাকের মতো গোটা ভারতের মাঠ চিৎকার করত স্যা-চি-ন স্যা-চি-ন, আপনি সেটা হ্যান্ডল করতেন কী করে?

(হাসি) হ্যাঁ ওই চিৎকার ভোলা যায় না৷

এক বলের খেলায় ক্রিকেট বল দেখাটাই যথেষ্ট সমস্যা৷ তার ওপর যদি ওই রকম পরিত্রাহী আবেগের অভ্যর্থনা হতে থাকে, সেটায় কান বন্ধ রেখে বল দেখতেন কী করে?

এটা যবে থেকে শুরু হয়, আমাকেও কিছু কিছু অ্যাডজাস্টমেণ্ট করতে হয়েছিল৷ কারণ সত্যিই ওই চিৎকারের মধ্যে ঠান্ডা মাথায় বল দেখা সম্ভব নয়৷ আমার তাই জুতোর ফিতে ক্রিজে নেমেই খুলে আসত৷ প্যাড দেখা যেত ঠিক করে বাঁধা হয়নি৷ উইকেটে নোংরা খুঁজে পেতাম (হাসি)৷ কোনও উপায় ছিল না ওই স্মার্টনেসগুলো দেখানো ছাড়া৷ আপনি যদি নিজে মানসিকভাবে সেটল ডাউন না করেন, ম্যাচকে কণ্ট্রোল করবেন কী করে? ইমপসিবল৷

কিন্তু অনেক সময় তো হাততালি থামতই না৷

সত্যিই প্রবলেম হত তখন৷ চেষ্টা করতাম ট্রেনিংয়ে ট্রেনিংয়ে আওয়াজটাকে অফ করে দেওয়ার৷ তার পর একটা মজার ব্যাপার হল জিম্বাবোয়েতে গিয়ে৷ ওখানে প্রায় কোনও চিৎকারই নেই৷ চারদিক ঠান্ডা৷ সেখানে গিয়ে দেখলাম আওয়াজ ছাড়া আমার কনসেনট্রেট করতে অসুবিধে হচ্ছে (খুব হাসি)৷

কিন্তু ইডেনে যখন আপনি শেষ বারের মতো ব্যাট করতে নামছেন, কলকাতার দর্শক যে উঠে দাঁড়িয়ে স্ট্যান্ডিং ওভেশন দিল, সেটা তো আপনি খেয়ালই করেননি৷

ভেরি ট্রু৷ আমি খেয়াল করিনি৷ অনেক সময়ই চেষ্টা করেছি কমপ্লিট ফোকাস মাঠের ওপরে রাখার৷ আশেপাশে কী হচ্ছে যাতে কোনওভাবে আমায় প্রভাবিত করতে না পারে৷ প্রথম বল খেলার আগেই আমাকে নিজের জোনে চলে যেতে হবে৷ আর সেই অবস্হানে পৌঁছতে পারলে আশেপাশে যা কিছু ঘটছে, সেটা আমি না দেখতে পাব, না শুনতে পাব৷ এত মানুষ আমার জন্য সে দিন কলকাতায় উঠে দাঁড়িয়েছিলেন৷ অন্য অনেক স্টেডিয়ামেও ব্যাট করতে যাওয়ার আগে উঠেছেন৷ তাঁদের প্রতি কোনও রকম অশ্রদ্ধা নয়৷ কিন্তু আমার মনে হত ভাল যদি কিছু করতে পারি, তখন তো ফেরার সময় ওঁদের অভিবাদন গ্রহণ করাটা আমার হাতের মধ্যেই থাকছে৷ তখন না হয় ওটা কৃতজ্ঞচিত্তে গ্রহণ করব৷

কিন্তু তার আগে মনোযোগকে বিচ্ছিন্ন করব না?

এগজ্যাক্টলি৷ সব সময় মনে রাখতে হয়েছে লোকে আমার থেকে অনেক কিছু এক্সপেক্ট করে৷ আমাকে সেটা দিতে হবে৷ মাঠের মাঝখানে ঢোকার আগে যদি আমি নিজেই ডিসট্র্যাক্টেড হয়ে যাই, তাহলে তাদের সেটা দেব কী করে? আমার বরাবর মনে হয়েছে, নিজের একটা কর্তব্য আছে৷ কর্তব্যের জন্য নানা স্যাক্রিফাইসও আছে৷

এই একটা জায়গায় গিয়ে শচীন আপনি গড়পড়তা ক্রিকেটারের চেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা৷ বাকি সবাই মগ্ন থেকেছে উচ্চাঙ্গ পেশাদারিত্ব দেখাতে৷ আপনি তারই সঙ্গে একটা সমান্তরাল বাইশ গজ বেছেছেন৷ সেখানে ব্যাট করেছেন আমাদের মতো অগুন্তি সমর্থকদের জন্য৷

আমার বরাবর মনে হয়েছে আমার প্রথম কর্তব্য আমার দলের প্রতি৷ দ্বিতীয় কর্তব্য দেশের প্রতি৷ বারবার মনে হয়েছে আমি কী রান করলাম সেটা নিশ্চয়ই ইম্পর্ট্যাণ্ট৷ কিন্তু তারও আগে আমি কি দলের কাজে আসতে পারছি? ইট ইজ নট অ্যাবাউট মাইসেলফ৷ ইট ইজ অ্যাবাউট দ্য টিম৷ আর দেশের হয়ে খেলাটা তো বরাবরই আমার স্বপ্ন৷ দেশের হয়ে ব্যাট করা চাপ কেন হতে যাবে? সেটা তো একটা সুযোগও৷ আমরা যে বাড়িতে বড় হয়েছি, সেখানে বরাবর শিক্ষা দেওয়া হয়েছে জাতীয়তাবাদী হও৷ আমার বাবা মারা যাওয়ার পর যখন আমি জীবনের প্রিয়তম মানুষের শোকে সম্পূর্ণ মুহ্যমান, তখন আমার মা বলেছিলেন, এখানে বসে আছ কেন? বিশ্বকাপে টিমের সঙ্গে যাও৷ তোমার বাবা ওপরে থাকলেও সেটাই চাইবেন৷

ক্রিকেটজীবনে আপনার মাইলস্টোন অভিজ্ঞতাগুলো সবার জানা৷ ক্রিকেট ছাড়ার পর সবচেয়ে মনে রাখার মতো অভিজ্ঞতা কী?

সো মেনি এক্সপিরিয়েন্সেস৷ কোনটা ছেড়ে কোনটা বলি? একটু ভাবতে হবে৷ দ্রূত যেটা মনে পড়ছে, তা হল ইউনিসেফের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে আমাকে নাড়িয়ে দেওয়া দু’একটা অভিজ্ঞতার কথা৷ যে প্রোজেক্টটায় আমি কাজ করছিলাম, সেটা ছিল কমবয়সি শিশুদের ডায়েরিয়াতে মারা যাওয়া নিয়ে৷ আমি জানতামই না এত ফুটফুটে সব কমবয়সি ছেলেমেয়েরা এমন আপাত তুচ্ছ রোগে এত ভয়ঙ্কর পরিণতির সামনে পড়তে পারে৷ আমার কাছে এই অভিজ্ঞতাটা খুব মর্মান্তিক৷

আর সবচেয়ে ভাল কমপ্লিমেণ্ট? যেটা অবসরজীবনে শুনেছেন?

অনেক, অনেক৷ গুনে শেষ করতে পারব না৷ কী করে একটা বাছি? তবে আপনি কমপ্লিমেণ্ট জানবেন? না, আমার হ্যাপিনেস কীসে বেশি হয়েছিল সেটা শুনবেন?

হ্যাপিনেস বলুন৷

আমি কিছু গ্রাম অ্যাডপ্ট করেছি৷ একেবারে গ্রাম্য অনুন্নত এলাকা৷ সেখানে বিজলিবাতি ছিল না৷ আমাদের চেষ্টায় সেখানে ইলেকট্রিসিটি এসেছে৷ এখন ফ্যান-লাইট জ্বলছে৷ রাস্তার আলো জ্বলছে৷ আমি নিজে গিয়ে সেটা দেখে এসেছি৷ তখন ওরা ওই ইলেকট্রিসিটি আসার আনন্দে যেভাবে হেসেছে, আমার কাছে সেটাই হ্যাপিনেস৷

আপনি বলবেন ক্রিকেট মাঠে করা সেঞ্চুরির চেয়েও গ্রামবাসীদের হাসিমুখ বেশি দামি?

আমি ওভাবে তুলনা করতে চাই না৷ সেঞ্চুরি তার জায়গায়৷ তবে ওই হাসিমুখগুলো আমি ভুলতে পারি না৷ আমার কাছে ভীষণ স্যাটিসফাইং৷

এই ফিল্মটা দেখে নিশ্চয়ই অনেকে উদ্দীপ্ত হবে৷ উঠতিরা শচীন হতে চাইবে৷ কিন্তু ভেতর থেকে একটা সত্যি কথা বলুন৷ আরও একটা শচীন তেণ্ডুলকর কি আদৌ সম্ভব?

আমি জানি না৷ আমি এভাবে কমপেয়ার করতে চাই না৷ গৌতম আপনি এই প্রশ্নটা অন্য প্রসঙ্গে (কোহলি) আমাকে আগেও করেছেন৷ আমার উত্তরটা জানেন৷ যখনই কোনও তুলনা ওঠে, আমি তখন তার মধ্যে ঢুকতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি না৷ প্রতিটি ইনডিভিজুয়ালের নিজস্ব শক্তি, নিজস্ব সামর্থ্য৷ তারা কীভাবে সেটাকে অপটিমাম পর্যায়ে নিয়ে যাবে, সেটা নির্ভর করছে একেবারেই তাদের ওপর৷ তারা কীভাবে নিজেকে সংগঠিত করে ক্রমাগত অভিজ্ঞ হতে হতে ভুলত্রুটি থেকে শিখবে, আরও নিখুঁত হবে, সেটা একান্তই তার জীবন৷

আমি বলতে চাইছিলাম সমসাময়িক ভারতের কথা৷ আপনি দক্ষিণ মুম্বইয়ের আলোকিত অংশের টিনএজার হয়েও যে তপস্যা, যে সাধনা করেছিলেন, আজকালকার দিনে ডাউনটাউন মুম্বইয়ের কোনও ছেলে সেটা করবে? বা অন্য কোনও বড় শহরের? এই মোবাইল অধ্যুষিত সমাজে টিনএজারের তো টানা পাঁচ মিনিটের বেশি ফোন ছাড়া কনসেনট্রেশনই থাকবে না৷ সে কোথায় ঘুরবে গুরুজির সঙ্গে স্কুটারে চেপে এক মাঠ থেকে আর এক মাঠ? স্বপ্নকে ধাওয়া করতে?

(কিছুক্ষণ চুপ) আবার বলছি, এটা সেই ইনডিভিজুয়ালের ওপর৷ প্রশ্নটা হল সে কীভাবে দেখছে? সে কতটা ভ্যালু করছে? আমি আশা হারাতে রাজি নই৷ আমি মনে করি কেউ যদি ডেসপারেটলি উন্নতি করতে চায়, সে ক্রমাগত নিজেকে ঠেলতে ঠেলতে এগোবে৷ সে তার বাসস্থান যেখানেই হোক৷ পুরোটাই তার নিজের ওপর৷ আমি কিছু দূর এগনোর পর বুঝতে পেরেছিলাম, ঈশ্বর আমাকে কিছু স্পেশাল উপহার সাজিয়ে দিয়েছেন৷ এটা বোঝার পর আমি মরণপণ করি যে সেই উপহার তো বৃথা হতে দেবই না৷ বরঞ্চ তা থেকে ম্যাক্সিমাম ফায়দা তুলব৷ সেই এক কথায় ফিরে যাচ্ছি–পুরোটাই তার নিজের ওপর৷

The post জীবনের প্রিয়তম বস্তুটাই উধাও ক্রিকেট ঈশ্বরের appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement