সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মন্দিরের অধিকার এবং আয়ের ভাগ বাঁটোয়ারা নিয়ে বিবাদে জড়াল সাধুদের দুই গোষ্ঠী। বৃহস্পতিবার সকালে বোমাবাজি চলল রাম জন্মভূমি অযোধ্যায় (Ayodhya)। এমনকী, অশান্তির জেরে সাধুদের আটক করেছে পুলিশ।
উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যার নরসিংহ মন্দিরে পরিচালনের দায়িত্বে কে থাকবে? আয়ের অর্থ থাকবে কার দখলে? এ নিয়ে বিবাদে জড়ায় সাধুদের দুই গোষ্ঠী। পরিচালন কমিটির দুই গোষ্ঠীর বিবাদ চরম আকার নেয় এদিন সকাল চারটে নাগাদ। জড়িয়ে পড়েন একাধিক মহন্ত, সাধু, সন্ন্যাসীরা। অভিযোগ, বোমাবাজি হয় মন্দির চত্বরে। ছুটে আসে স্থানীয় কোতয়ালি থানার পুলিশ। পরিস্থিতি সামাল দিতে আটক করা হয় কয়েকজনকে।
[আরও পড়ুন: জনপ্রতিনিধিদের সম্পত্তি বৃদ্ধি মামলা: ইডিকে যুক্ত করার নির্দেশে আপত্তি, রিভিউ পিটিশন ৩ মন্ত্রীর]
সার্কেল অফিসার রাজেশ তিওয়ারি জানান, “মন্দিরের পরিচালন ক্ষমতা, আয়ের ভাগ বাঁটোয়ারা নিয়ে বিবাদ বাঁধে। বিবাদমান দুই গোষ্ঠীরই কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।” তবে বোমাবাজির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ। তাদের দাবি, বোমা নয়, শক্তিশালী পটকা ফাটানো হয়েছে। এখনও কোনও এফআইআর দায়ের হয়নি। তবে ঘটনার তদন্ত চলছে।
প্রসঙ্গত, অযোধ্যায় তৈরি হচ্ছে রামমন্দির। এবার সেখানেই মন্দিরের আয়ের ভাগ নিয়ে চরম বিবাদের সাক্ষী রইল সেই অযোধ্যা। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘মেয়ে টেট পাশ, সার্টিফিকেট আছে’, নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গে মুখ খুললেন অনুব্রত]
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগেই নিজেদের ইস্তেহারে রামমন্দির তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি। সুপ্রিম নির্দেশে শুরু হয়েছে সেই মন্দির নির্মাণের কাজ। সেই কাজ শেষ হতে ২০২৫। কিন্তু ২০২৪ সালে লোকসভা ভোটের আগেই পুন্যার্থীদের জন্য মন্দিরের একাংশ খুলে দেওয়া হচ্ছে। ফলে সেখানে তাঁর পুজোর্চনা সারতে পারবেন। এমনটাই জানিয়েছেন রামমন্দির ট্রাস্টের সাধারণ সচিব চম্পত রাই। এদিন তিনি জানিয়েছেন, ২০২৩ সালে পুন্যার্থীদের জন্য রামমন্দিরের গর্ভগৃহ খুলে দেওয়া হবে।