সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিগ্বিজয় সিংয়ের বিরুদ্ধে ভোপালে কে প্রার্থী হবেন? সেটাই হয়ে উঠেছিল বিজেপির মাথাব্যথার কারণ। কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতার বিরুদ্ধে প্রার্থী হওয়ার ঝুঁকি নিতে চাইছিলেন না দলের শীর্ষ নেতারা। অবশেষে সেই সমস্যার চমৎকার সমাধান খুঁজে পেল বিজেপি শীর্ষনেতারা। দিগ্বিজয়ের বিরুদ্ধে তাঁর চরম বিরোধী তথা ২০০৮ মালেগাঁও বিস্ফোরণে অভিযুক্ত সাধ্বী প্রজ্ঞা ঠাকুরকে প্রার্থী করল গেরুয়া শিবির।
[আরও পড়ুন: ‘১০০ বার স্নান করলেও মোষের মতো দেখাবে’, কুমারস্বামীকে কটাক্ষ বিজেপি নেতার]
বুধবারই আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন সাধ্বী। দলে যোগ দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাঁর নাম সরকারিভাবে ভোপাল কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে গেরুয়া শিবির। ভোপাল বিজেপির তথাকথিত শক্ত ঘাঁটি হিসেবেই পরিচিত। গত বেশ কয়েকটি নির্বাচনে এই আসনটিতে জিততে পারেনি কংগ্রেস। কিন্তু এবার পরিস্থিতি খানিকটা বদলেছে। ১৫ বছর পর রাজ্যে সরকার বদলেছে। কঠিন আসনে দলের বর্ষীয়ান নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয়কে প্রার্থী করেছে কংগ্রেস। দিগ্বিজয় এই লড়াইকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে বর্ণনা করে হুঙ্কার ছেড়ছেন, “ভোপালের প্রতিটি অলি গলি আমি হাতের আঙুলের মতো চিনি। এখানে আমাকে হারানো সহজ হবে না।”
ভোপাল আসনে বিজেপির তরফে প্রথমে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল উমা ভারতীকে। যদিও উমা আগেই জানিয়েছিলেন, তিনি লোকসভায় আর লড়বেন না। উমার পর প্রস্তাব যায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের কাছে। তিনি প্রথমে রাজি হয়েও পরে পিছিয়ে আসেন। তারপরই ভেবেচিন্তে সাধ্বী প্রজ্ঞার নাম ঠিক করা হয়। সাধ্বী এখন জামিনে আছেন। মালেগাঁও বিস্ফোরণ কাণ্ডের দাগও আর নেই তাঁর কাছে। কারণ, উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে এই মামলা থেকে আগেই অব্যাহতি পেয়ে গিয়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: সুষ্ঠু পরিবেশ নেই, পূর্ব ত্রিপুরা আসনে ভোট পিছিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন]
সাধ্বী প্রজ্ঞা নিজেকে ধর্মগুরু হিসেবে বর্ণনা করেন। ভোটের লড়াইয়ে নেমেই তিনি বলে দিয়েছেন “দিগ্বিজয় হিন্দু বিরোধী। ওঁকে হারাবই।” উল্লেখ্য, মালেগাঁও বিস্ফোরণের পরে দিগ্বিজয় সিংই কর্নেল পুরোহিত এবং সাধ্বী প্রজ্ঞাদের বিরুদ্ধে প্রচার শুরু করেন। হিন্দু সন্ত্রাসবাদ তত্ত্বের প্রচারও তিনিই শুরু করেছিলেন। তাই ভোপালের এই লড়াই এবার হতে চলছে সেয়ানে সেয়ানে।
The post মালেগাঁও বিস্ফোরণে অভিযুক্ত সাধ্বী প্রজ্ঞাকে প্রার্থী করল বিজেপি appeared first on Sangbad Pratidin.