সৌরভ মাজি, বর্ধমান: শিয়রে বিধানসভার নির্বাচন। তার আগে দলবদলের হিড়িক লেগেছে। তাই কোথাও সামান্য তাল কাটলেই গুঞ্জন শুরু হয়ে যাচ্ছে। ঠিক যেমনটা হল বর্ধমানের জেলা পরিষদের খসড়া বাজেট পেশের বৈঠকে। চেয়ারে থাকা তোয়ালের রঙ বদল নিয়ে রীতিমতো কানাঘুষো শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে সে সব জল্পনায় জল ঢেলেছেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি শাম্পা ধাড়া।
খসড়া বাজেট পেশের দিনেই তোয়ালের রঙ নিয়ে গুঞ্জন ওঠে পরিষদের অন্দরে। আচমকাই কর্মাধ্যক্ষদের চেয়ারের নীল ও সাদা তোয়ালের (Towel) রঙ বদলে হয়েছে ‘গেরুয়া’। যা নিয়ে ফিসফাস শুরু হয়ে যায় শহরেও। গুঞ্জন ওঠে তাহলে কী জেলা পরিষদেরও রঙ বদল ঘটছে না কি। যদিও বিষয়টি বিশেষ আমল দিচ্ছেন না সভাধিপতি শম্পা ধাড়া ও অন্যান্য কর্মাধ্যক্ষরাও।
[আরও পড়ুন : শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে বৈঠক ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল বিধায়কের, তুঙ্গে জল্পনা]
শম্পা ধাড়া বলেন, “আগে সব তোয়ালেই সাদা রাখা হয়েছিল। ময়লা হলে বদল করে সাদাই দেওয়া হত। কিন্তু সেই কাজে যুক্তরা অনেক সময় বদল না করেই বদলে দিয়েছিলেন বলেন। সেই কারণে এক সেট রঙিন তোয়ালে রাখার কথা বলা হয়। গেরুয়া বাদে অন্য যে কোনও রঙ দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু যেগুলি দেওয়া হয়েছে যা হলুদ। কারও কারও সেটাই গেরুয়া মনে হচ্ছে। অপপ্রচার ছাড়া আর কী বলা যায়।” একই কথা বলেছেন কৃষি ও সেচ কর্মাধ্যক্ষ মহম্মদ ইসমাইলও। তিনি বলেন, “যত সব বাজে কথা। রঙিণ ও সাদা দুই সেট তোয়ালে রয়েছে। কেউ কেউ সেটাকে নিয়ে এমন নোংরামি করতে শুরু করেছে।” সেই যাই ঘটুক এই নিয়ে চর্চা চলছে শহরে।
গত আর্থিক বছরের থেকে এবার বাজেট বরাদ্দ ১০০ কোটি টাকা বৃদ্ধি পেল পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদে। সভাধিপতি শম্পা ধাড়া জানান, ২০২১-২২ আর্থিক বছরের জন্য ৯০০ কোটি ৬০ লক্ষ ৮৩ হাজার ৫২৬ টাকা। এছাড়া জেলা পরিষদের ৯টি স্থায়ী সমিতির জন্যও আলাদাভাবে বাজেট বরাদ্দ স্থির করা হয়েছে খসড়া বাজেটে। জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ স্থায়ী সমিতির জন্য সব থেকে বেশি বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে। এই স্থায়ী সমিতির জন্য ৩৪০ কোটি ২৭ লক্ষ ৫৮ হাজার ৯৪৬ কোটি টাকা ধার্য করা হয়েছে। এর পরেই রয়েছে পূর্ত ও পরিবহণ স্থায়ী সমিতির। তার জন্য বাজেট ধরা হয়েছে ৩৩৪ কোটি ৭৬ লক্ষ ৯০ হাজার ৬১১ টাকা। এছাড়া নারী, শিশু ও ত্রাণ স্থায়ী সমিতিতে প্রায় ২৬ কোটি, শিক্ষা, ক্রীড়া, সংস্কৃতিতে প্রায় ২৬ কোটি, খাদ্য স্থায়ী সমিতিতে প্রায় সাড়ে ১৮ কোটি, কৃষি ও সেচে প্রায় সাড়ে ১৯ কোটি বরাদ্দ ধরা হয়েছে।