সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাতে মোটে তিন ঘণ্টা ঘুম। কাকভোরে যোগব্যায়াম, ধ্যান। নরেন্দ্র মোদির সরল জীবনযাপন মুগ্ধ বলিউড নবাব সইফ আলি খান। প্রধানমন্ত্রী বলে কথা। স্বাভাবিকভাবেই দিনভর তাঁর শিডিউল শশব্যস্ত। আপনি ঘুমোনোর সময় পান? প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে প্রশ্ন ছুঁড়েছিলেন সইফ। হাসিমুখেই তিনি যা উত্তর দেন, তাতে হতবাক বলিউড তারকা।
গত মঙ্গলবার গোটা কাপুর 'খান-দান' দিল্লিতে পাড়ি দিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) সঙ্গে দেখা করার জন্য। জামাই সইফ আলি খানও উপস্থিত ছিলেন সেই সাক্ষাৎ পর্বে। সেখানেই আলাপচারিতার পর মোদিতে মুগ্ধ সইফ। প্রধানমন্ত্রী যেদিন কাপুরদের সঙ্গে তাঁর বাসভবনে দেখা করলেন, তার ঠিক আগের দিনই সংসদ থেকে ফিরেছেন। স্বাভাবিকভাবেই সইফ আলি খান ভেবেছিলেন, মোদি হয়তো ভীষণ ক্লান্ত। "তবে ঘরে প্রবেশ করেই তিনি যে ভুবনভোলানো মিষ্টি হাসি হাসেন, সেটা দেখে আর কোনও সংশয় কাজ করেনি আমাদের মধ্যে", দিল্লি থেকে ফিরে সদ্য এক সাক্ষাৎকারে একথা জানিয়েছেন সইফ। অভিনেতার কথায়, "সারাদিন এত কঠোর পরিশ্রম করেন। একটা দেশ চালান। তার মাঝেও সকলের সঙ্গে কী সুন্দর আড্ডা দিতে পারেন। আমি ওঁকে জিজ্ঞেস করেছিলাম- 'আপনি বিশ্রাম কখন নেন?' তার উত্তরে মোদিজি জানান, উনি মাত্র ৩ ঘণ্টা ঘুমোন রাতে।"
এরপরই সইফ আলি খানের সংযোজন, "ওঁর সঙ্গে সাক্ষাতের দিনটা আমার জন্যে সত্যিই ভীষণ স্পেশাল। উনি এত ব্যস্ততার মাঝেও কিন্তু আমার মা (শর্মিলা ঠাকুর ), আমার বাচ্চাদের (জেহ, তৈমুর) খোঁজ নিয়েছেন। আমার বাবার (মনসুর আলি খান পতৌদি) সঙ্গে দেখা করার স্মৃতিও শেয়ার করলেন। আমাদের পরিবারকে যে সম্মান উনি দিলেন, তার জন্য আমরা সকলেই কৃতজ্ঞ। আমার ছেলেদের জন্য আবার অটোগ্রাফও সই করে দিয়েছেন।" সদ্য কাপুর পরিবারের সঙ্গে মোদির কথোপকথনের ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে নরেন্দ্র মোদীর অফিসের তরফে। সেখানেই মোদির সঙ্গে সময় কাটানোর অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেন সকলে। সইফকে বলতে শোনা গেল, “আপনিই প্রথম প্রধানমন্ত্রী যাঁর সঙ্গে আমি দেখা করার সুযোগ পেলাম। ব্যক্তিগতভাবে আপনার সঙ্গে দু বার দেখা করলাম। দারুণ ইতিবাচক মানুষ এবং কঠোর পরিশ্রমী আপনি। আপনার কাজের জন্য শুভেচ্ছা রইল।”
সইফ আলি খানের মুখে নিজের অতিথি আপ্যায়ণের প্রশংসা শুনে পালটা রসিকতা করে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য, “আপনার বাবার সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে। আমি ভেবেছিলাম, তৃতীয় প্রজন্মের সঙ্গেও আমার দেখা হবে। কিন্তু আপনি তো তৃতীয় প্রজন্মকে নিয়ে এলেন না।” তৎক্ষণাৎ করিনার সংযোজন, “আমি কিন্তু ওদের নিয়ে আসতে চেয়েছিলাম।” এদিকে স্বয়ং নরেন্দ্র মোদির তরফে ছেলেদের জন্য অটোগ্রাফ পেয়ে তো আহ্লাদে আটখানা বেবো। তবে দুই খুদে ‘পতৌদি সুপারস্টারের’ সঙ্গে দেখা না হওয়ার আক্ষেপ রয়ে গেল প্রধানমন্ত্রীর মনে।