ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: ‘পান থেকে চুন খসলে’ই বাংলায় প্রতিনিধি দল পাঠায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, অথচ হরিয়ানা সীমানায় কৃষক মৃত্যুতে ‘চুপ’ তারা! প্রতিনিধি দল পাঠানো তো দূরে থাক, স্বতঃপ্রণোদিত মামলাও দায়ের করা হয়নি বলে খোঁচা দিলেন তৃণমূলের রাজ্য়সভার সাংসদ সাকেত গোখলে। ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে চিঠিও লিখেছেন তিনি। অভিযোগও দায়ের করেছেন।
সাকেত গোখলের অভিযোগ, “জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বাংলায় অতিসক্রিয়। নিয়মিত তথ্য অনুসন্ধানকারী দল পাঠায়, স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করে। কিন্তু আন্দোলনকারী কৃষকের মৃত্যুতে কোনও স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের হয়নি।” সঙ্গে তাঁর আবেদন, “কৃষক মৃত্যুতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় পদক্ষেপ করুক NHRC। শান্তিপূর্ণ কৃষক আন্দোলনে অবিচার এবং হিংসা কোনওভাবেই বরদাস্ত করা যায় না।”
[আরও পড়ুন: সন্দেশখালিতে গণধর্ষণের আরও এক মামলা দায়ের, রাতে এলাকা পরিদর্শনে ডিজি]
উল্লেখে, ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় একাধিক বার বঙ্গ সফর করেছে মানবাধিকার কমিশনের দল। এমনকী, সন্দেশখালি কাণ্ডে রাজ্যের মুখ্যসচিবের বিপি গোপালিকা এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারকে স্বতঃপ্রণোদিত নোটিস পাঠিয়েছে। চার সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। অথচ দিল্লি-হরিয়ানা সীমানায় সংঘর্ষে কৃষকমৃত্যুতে কার্যত মুখে কুলুপ এটেছে NHRC।
প্রসঙ্গত, বুধবার সকাল থেকেই শম্ভু সীমানায় শুরু হয়েছিল কৃষক-পুলিশ ধুন্ধুমার। তার মধ্যেই পুলিশের ছোড়া টিয়ার গ্যাসে আহত হন ২৪ বছরের শুভ করণ সিং। দ্রুত হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হলেও চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় যুবকের। এই ঘটনায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেছেন তৃণমূল সাংসদ। একইসঙ্গে বাংলায় তাদের অতি সক্রিয়তা নিয়েও খোঁচা দিয়েছেন তিনি।