shono
Advertisement

Sakshi Malik: আন্দোলন থেকে নাম তুললেন? রেলের চাকরিতে যোগ দিয়ে মুখ খুললেন সাক্ষী মালিক

গত শনিবারই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করেছিলেন আন্তর্জাতিক স্তরে পদকজয়ী কুস্তিগিররা।
Posted: 02:15 PM Jun 05, 2023Updated: 04:15 PM Jun 05, 2023

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কুস্তি, অনুশীলন, চাকরি ছেড়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে সোমবার হঠাৎই শোনা যায় সেই আন্দোলনে নাকি ইতি টানলেন সাক্ষী মালিক (Sakshi Malik)। সোমবার প্রতিবাদ থেকে তাঁর নাম তুলে নেওয়ার কথা ছড়িয়ে পড়ে। সেই সঙ্গে জানা যায় তিনি যোগ দিলেন রেলের চাকরিতে। তবে এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই মুখ খোলেন সাক্ষী। জানান, ন্য়ায়বিচারের আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়ানোর কোনও প্রশ্নই উঠছে না।

Advertisement

জাতীয় কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগে সরব হয়েছিলেন সাক্ষী, ভিনেশ ফোগাট, বজরং পুনিয়ারা। রোদ-ঝড়-জল উপেক্ষা করে, পুলিশের হাতে মারধর খাওয়ার পরও আন্দোলন চালিয়ে গিয়েছেন তাঁরা। কখনও বিজেপির মহিলা সাংসদদের চিঠি লিখে পাশে দাঁড়ানোর আরজি জানিয়েছেন তো কখনও কেন্দ্রকে হুঁশিয়ারি দিয়ে ব্রিজভূষণের গ্রেপ্তারির সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন তাঁরা। এমনকী গত শনিবার রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গেও দেখা করেন আন্তর্জাতিক স্তরে পদকজয়ী কুস্তিগিররা। কিন্তু সেখানেও অধরা থেকে যায় রফাসূত্র। ঠিক তার দু’দিন পরই আজ শোনা যায়, আন্দোলন থেকে নাকি সরে দাঁড়িয়েছেন সাক্ষী। ইতিমধ্যেই যোগ দিয়েছেন নিজের নর্দান রেলওয়ের চাকরিতে। রিপোর্ট বলছে, গত ৩১ মে-ই নাকি কাজে যোগ দিয়েছেন তিনি। তাঁর পাশাপাশি চাকরিতে যোগ দিয়েছেন বজরং পুনিয়াও।

কিন্তু চাকরিতে যোগ দেওয়ার অর্থ আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়ানো যে নয়, তেমনটাই টুইট করে স্পষ্ট করে দিলেন সাক্ষী। লেখেন, “এই খবর ভুল। ন্যায়ের লড়াইয়ে কখনও পিছু হঠিনি, ভবিষ্যতেও হঠব না। সত্যাগ্রহের পাশাপাশি রেলেও নিজের দায়িত্ব পালন করছি। যতদিন না সুবিচার পাচ্ছি, আমাদের আন্দোলন চলবে।”

[আরও পড়ুন: রোহিত-বিরাটদের নয়া জার্সির আকাশছোঁয়া দাম, ‘অ্যাবিবাস’ই ভরসা সমর্থকদের]

নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধনের দিন দিল্লির রাজপথে প্রতিবাদ মিছিলে নেমেছিলেন সাক্ষীরা। সেদিনই পুলিশি হেনস্তার শিকার হতে হয় তাঁদের। এর পরই ভিনেশ-সাক্ষীরা জানিয়েছিলেন, তাঁরা নিজেদের পদক হরিদ্বারের গঙ্গায় ভাসিয়ে দেবেন। কিন্তু ক্রীড়ামন্ত্রী ও বিশিষ্টজনদের অনুরোধে সেই সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন তারকা কুস্তিগিররা। তবে ব্রিজভূষণের গ্রেপ্তারির দাবি থেকে সরে দাঁড়াননি। এরপর তাঁদের আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রকে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন কৃষক সংগঠনের প্রধান রাকেশ টিকায়িত। জানান, আগামী ৯ জুনের মধ্যে ব্রিজভূষণকে গ্রেপ্তার না করা হলে বৃহত্তম আন্দোলনে নামা হবে। এবার দেখার আন্দোলন কোন পথে এগোয়। 

[আরও পড়ুন: ওড়িশা দুর্ঘটনায় উদ্ধারকাজে জোর, শেষ মুহূর্তে বাতিল মুখ্যমন্ত্রীর দার্জিলিং সফর]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement