সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা আবহে দীর্ঘদিন স্তব্ধ খেলার দুনিয়া। অন্যান্য দেশে মাঠে বল গড়ালেও ভারতের ছবিটা রয়েছে লকডাউন পর্বের মতোই। স্বাস্থ্যমন্ত্রক সবুজ সংকেত দিলেও বিভিন্ন কারণে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে পারেননি ক্রীড়াবিদরা। তবে তারই মধ্যে যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিল ক্রীড়ামন্ত্রক। ভারতীয় কোচদের কোচিংয়ের চুক্তির মেয়াদ চার বছর করে দেওয়া হল। সেই সঙ্গে ২ লক্ষ টাকার বাঁধা গতের বেতনের নিয়মও সরে গেল।
ইতিমধ্যেই যে সমস্ত ভারতীয় কোচ কোচিংয়ের সঙ্গে যুক্ত এবং যাঁরা নতুন করে পা রাখছেন, প্রত্যেকের সঙ্গেই পারফরম্যান্সের নিরিখে চার বছরের জন্য চুক্তি করা হবে। এতে ভারতীয় ক্রীড়াক্ষেত্রের উন্নতি হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ কোচরাও যেমন নিজেদের প্রমাণের সময় পাবেন, তেমনই খেলোয়াড়দেরও বোঝাপড়ার সমস্যা হবে না। পাশাপাশি পারফরম্যান্সের নিরিখে বিচার হলে প্রত্যেকেই নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দেবেন। নয়া সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করে ক্রীড়ামন্ত্রী কিরেণ রিজিজু বলেন, “অনেক ভারতীয় কোচই দারুণ পারফর্ম করছেন। তাঁদের পরিশ্রমের স্বীকৃতি দেওয়া উচিত। গোটা দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কোচেরা যাতে আমাদের অ্যাথলিটদের আরও উন্নত মানের প্রশিক্ষণ দিতে পারেন, সেই জন্যই এই সিদ্ধান্ত। এখানে অভিজ্ঞ কিংবা নামীর সঙ্গে নতুন কোচের তুলনার কোনও জায়গা থাকবে না।”
[আরও পড়ুন: ভারতে চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ হওয়া নিয়ে মুখ খুললেন ‘TikTok তারকা’ ডেভিড ওয়ার্নার]
ভারতীয় হোক কিংবা বিদেশি কোচ- চুক্তি থেকে পারিশ্রমিক-প্রতিটি ক্ষেত্রেই এবার সামঞ্জস্য বজায় রাখার সিদ্ধান্ত নিল ক্রীড়ামন্ত্রক। যা এতকাল ভারতের মাটিতে চোখে পড়েনি। আর চার বছরের চুক্তির কথা ভাবা হয়েছে অলিম্পিককে মাথায় রেখেই। সেইভাবেই কোচিংয়ের সময় ভাগ করে নেওয়া হবে। প্রাক্তন এলিট অ্যাথলিটদেরও যাতে কোচিংয়ে আগ্রহী করে তোলা যায়, সেই চেষ্টা চলছে। এতে অ্যাথলিটদের সার্বিক উন্নতি হবে বলেই আশা ক্রীড়ামন্ত্রকের। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ব্যাডমিন্টন কোচ পুল্লেলা গোপীচাঁদ এবং ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থাও (IOA)।
এবার প্রশ্ন হল, তাহলে কীভাবে ভারতীয় কোচদের বেতন নির্ধারিত হবে? প্রাক্তন এলিট অ্যাথলিটদের ক্ষেত্রে তাঁদের খেলোয়াড় হিসেবে অতীত পারফরম্যান্স এবং কোচ হিসেবে সাফল্যের উপর পারিশ্রমিক নির্ভর করবে। ক্রীড়ামন্ত্রক এবং স্পোর্টিং ফেডারেশন যৌথভাবে নতুন কোচ বাছাই করবে। করোনা মহামারী পরিস্থিতির উন্নতি ঘটলে গ্রাসরুট লেভেলে বেশি জোর দেওয়া হবে। কারণ লক্ষ্য ২০২৮ অলিম্পিক। আসলে দিন কয়েক আগেই কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেছেন, বছর আষ্টেক পর অলিম্পিকের মঞ্চে আরও অনেক বেশি সংখ্যক পদক জিতবে ভারত। তাই এখন থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া হবে।
[আরও পড়ুন: এই অজি কোচই সৌরভকে কেকেআরের নেতৃত্ব থেকে সরাতে চেয়েছিলেন, সফলও হয়েছিলেন!]
The post করোনা আবহে যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত, ভারতীয় কোচদের বেতন ও চুক্তিতে বড়সড় বদল ক্রীড়ামন্ত্রকের appeared first on Sangbad Pratidin.