সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরনে কালো শার্ট। সাদা প্যান্টের উপর রঙিন কার্টুন আঁকা। একেবারে দাবাং অবতারে হাজির সলমন। লরেন্স বিষ্ণোইয়ের গ্যাংয়ের প্রাণনাশের হুমকি, গুলি বর্ষণের ঘটনাকে একেবারে ফুঁৎকারে উড়িয়ে 'হীরমাণ্ডি'র প্রিমিয়ারে (Heeramandi screening) হাজির বলিউডের দাবাং খান। সলমনের চোখে মুখে কোথাও ধরা পড়ল না ভয়। পাপারাজ্জিদের ক্য়ামেরার সামনে বিন্দাস পোজ দিলেন। সূত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, কড়া নিরাপত্তাকে সঙ্গে নিয়েই সঞ্জয়লীলা বনশালির 'হীরামাণ্ডি' ছবির প্রিমিয়ারে পৌঁছেছিলেন সলমন। প্রিমিয়ার পার্টিতে বেশ কয়েক ঘণ্টা কাটিয়েছেন তিনি। বনশালি যেহেতু সলমনের খুবই ঘনিষ্ঠ তাই, বনশালির ছবির প্রিমিয়ারে না এসে পারেননি সলমন।
প্রসঙ্গত, সলমন খানের (Salman Khan) ‘গ্যালাক্সি’তে হামলার ঘটনায় একের পর এক তথ্য প্রকাশ্যে আসছে। এর আগে তাপি নদী থেকে একটি বন্দুক উদ্ধারের খবর জানা গিয়েছিল। এবার খবর, ওই জায়গা থেকেই উদ্ধার হয়েছে দ্বিতীয় বন্দুক। পাওয়া গিয়েছে তিন-তিনটি ম্যাগাজিন।
[আরও পড়ুন: চপার থেকে নামতেই দেবের পা জড়িয়ে ধরলেন মহিলা! বালুরঘাটে প্রচারে গিয়ে কী ঘটল?]
১৪ এপ্রিল দিন আচমকাই সলমনের বাড়িতে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, দুই বাইক আরোহী এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে সলমনের ‘গ্যালাক্সি’ অ্যাপার্টমেন্টের বাইরে। বুলেট গিয়ে লাগে সুপারস্টারের বাড়ির দেওয়ালে। গুলি চালিয়েই পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনার পরই নড়েচড়ে বসে পুলিশ-প্রশাসন। ঘটনার তদন্তভার যায় মুম্বই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের হাতে। সলমনের বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডে।
ঘটনার আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যেই ভিকি গুপ্ত (২৪) ও সাগর পাল (২১) নামের দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে ভুজ পুলিশ। ধৃতদের ক্রাইম ব্রাঞ্চের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, এই দুজনকে জেরা করেই তাপি নদীতে বন্দুক ও গুলি ফেলার কথা জানতে পারে পুলিশ। ধৃতরা নাকি সুরাটে পালিয়ে যাওয়ার আগে নদীতে বন্দুক আর গুলি ফেলে গিয়েছিল। দুটি বন্দুকই এখন পুলিশের কাছে। আর সেই সঙ্গে রয়েছে উদ্ধার হওয়া তিনটি ম্যাগাজিন। যাতে কয়েক রাউন্ড বুলেট থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।