shono
Advertisement

ছুরির আঘাত সামলে কী করে প্রাণে বাঁচলেন রুশদি! অবাক হামলাকারী হাদি মাতার

গত শুক্রবার আক্রান্ত হন বুকারজয়ী সাহিত্যিক।
Posted: 04:57 PM Aug 18, 2022Updated: 04:57 PM Aug 18, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত শুক্রবার গোটা বিশ্ব শিউরে উঠেছিল বুকারজয়ী সাহিত্যিক সলমন রুশদির (Salman Rushdie) উপরে হামলার ঘটনায়। মঞ্চে উঠে তাঁকে উপর্যুপরি ছুরির আঘাত করেছিল আততায়ী হাদি মাতার। আগের থেকে অনেকটাই ভাল আছেন সলমন। আর তাতেই বিস্মিত হাদি।

Advertisement

নিউইয়র্কে জেলবন্দি হাদি জানিয়েছে, তার হামলার ধাক্কা সামলে রুশদি যেভাবে সুস্থতার পথে, তাতে সে বিস্মিত। তার কথায়, ”আমি ওঁকে পছন্দ করি না। আমার মনে হয় না উনি কোনও ভাল মানুষ। উনি ইসলামের অবমাননা করেছেন। মানুষের বিশ্বাসে আঘাত করেছেন।”

[আরও পড়ুন: ‘আপনি আইন জানেন না’, এজলাসেই আইনজীবীর তীব্র আক্রমণের মুখে হাই কোর্টের বিচারপতি]

উল্লেখ্য, শুক্রবার নিউ ইয়র্কের চাউটাউকুয়া ইন্সটিটিউশনে ভাষণ দিতে পৌঁছন রুশদি। ঠিক ছিল সেখানে ‘আমেরিকায় শরণার্থী লেখকেরা’ বিষয়ের উপর প্রখ্যাত সাহিত্যিকের সঙ্গে কথা বলবেন সঞ্চালক হেনরি রিস ৷ আলোচনা হওয়ার কথা ছিল আগামী বছর প্রকাশ্যে আসতে চলা রুশদির উপন্যাস ‘ভিক্ট্রি সিটি’ নিয়েও৷ কিন্তু সে সব অধরাই থেকে যায়৷ মঞ্চে আসতেই তাঁর দিকে তেড়ে যায় এক ব্যক্তি। এই অতর্কিত আক্রমণে স্তম্ভিত হয়ে যান সকলেই। অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে রুশদিকে উপর্যুপরি ছুরির আঘাত করে হাদি।

জানা গিয়েছে, হাদি মাতারের বয়স ২৪। সে নিউ জার্সির বাসিন্দা। ইরানের ইসলামিক রেভিলিউশনারি গার্ড তথা IRGC-রও সমর্থক সে। হাদি জানিয়েছে, খোমেইনির ভক্ত সে। ১৯৮৯ সালে রুশদির উপন্যাস ‘স্যাটানিক ভার্সেস’ নিয়ে বিতর্ক শুরু হলে তাঁকে হত্যার ফতোয়া জারি করে বিপুল পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন খোমেইনি। যদিও ইরান এই হামলায় তাদের জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছে। হাদিও জানিয়েছে, IRGC-র সমর্থক হলেও তার সঙ্গে তাদের কোনও প্রত্যক্ষ যোগাযোগ নেই। সেই সঙ্গে রুশদির হামলাকারী জানিয়েছে, ‘স্যাটানিক ভার্সেস’ সে দু’পাতার বেশি পড়েনি।

[আরও পড়ুন: হাই কোর্টে সাময়িক স্বস্তি অনুব্রতকন্যার, হাজিরার নির্দেশ প্রত্যাহার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement