সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আরিয়ান খানের (Aryan Khan) গ্রেপ্তারির পর থেকেই তাঁকে নানা ভাবে টার্গেট করা হচ্ছে। ব্যক্তিগত সম্পর্কের প্রসঙ্গ টেনে সম্মানহানির চেষ্টা করা হচ্ছে। এমনই অভিযোগ করেছেন নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর (NCB) জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ে (Sameer Wankhede)। নিজের গ্রেপ্তারির আশঙ্কাও করছেন তিনি। আর তা জানিয়ে NDPS আদালতে নাকি হলফনামা দাখিল করেছেন। তাঁর প্রয়াত মা ও বোনকে টার্গেট করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ জানিয়েছেন NCB কর্তা।
৩ অক্টোবর শাহরুখপুত্র আরিয়ানকে গ্রেপ্তার করা হয়। একাধিক জামিনের আবেদন জানিয়েছেন আরিয়ানের আইনজীবী। কিন্তু তা নামঞ্জুর হয়েছে। ২৬ অক্টোবর বম্বে হাই কোর্টে ফের আরিয়ানের জামিনের আবেদনের শুনানি হবে। এমন পরিস্থিতিতে সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে সাক্ষী জোগাড়ের অভিযোগ আনা হয়েছে। আবার ২৫ কোটি টাকায় আরিয়ান মামলার দফারফা করার অভিযোগও আনা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: বিতর্কিত ওয়েবসিরিজ ‘আশ্রম’ নিয়ে বিরোধিতা, প্রকাশ ঝা’র সেটে ঢুকে তাণ্ডব বজরং দলের]
আরিয়ান মামলা থেকে সরাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে বলেও অভিযোগ করেছেন সমীর ওয়াংখেড়ে। রবিবারই এ বিষয়ে তিনি মুম্বইয়ের পুলিশ কমিশনারকে (Mumbai Police CP) চিঠি লেখেন। “নিশ্চিত করুন যাতে কোনও অপ্রাসঙ্গিক আইনি পদক্ষেপের মাধ্যমে আমাকে ফাঁসানো না হয়। ” চিঠিতে লেখেন ওয়াংখেড়ে।
এর মধ্যেই আবার মহারাষ্ট্র সরকারের মন্ত্রী নবাব মালিক সোশ্যাল মিডিয়ায় পুরনো একটি বার্থ সার্টিফিকেট শেয়ার করেন। যেখানে সমীর ওয়াংখেড়ের বাবার নাম দাউদ ওয়াংখেড়ে হিসেবে দাবি করা হয়। এদিকে চাকরির পরীক্ষা দেওয়ার সময় সমীর নিজের বাবার নাম হিসেবে ধ্যানদেব ওয়াংখেড়ে লেখেন। বার্থ সার্টিফিকেট শেয়ার করে নবাব মালিক লেখেন, “এখান থেকে সমীর দাউদ ওয়াংখেড়ের মিথ্যে সূত্রপাত।”
মালিকের অভিযোগে জবাবে পালটা বিবৃতি দিয়ে সমীর ওয়াংখেড়ে জানান, তাঁর বাবার নাম ধ্যানদেব কাচরুজি ওয়াংখেড়ে। তিনি পুণের স্টেট এক্সাইজ বিভাগের সিনিয়র পুলিশ ইনস্পেক্টর ছিলেন। “আমার বাবা হিন্দু ছিলেন, মা জাহিদা ছিলেন মুসলমান। আমি মিশ্র সংস্কৃতি নিয়ে সেক্যুলার পরিবারে বড় হয়েছি, আর তা নিয়ে গর্বিত। ২০০৬ সালে আমি ডা. শাবানা কুরেশিকে স্পেশ্যাল ম্যারেজ অ্যাক্টে বিয়ে করি। ২০১৬ সালে পারস্পরিক বোঝাপড়ায় ডিভোর্স হয়। ২০১৭ সালে আমি ক্রান্তি দীনানাথ রেদকরকে বিয়ে করি।” জানান ওয়াংখেড়ে।
এরপরই মুম্বই NCB-র জোনাল ডিরেক্টর অভিযোগ জানান, তাঁর ব্যক্তিগত তথ্য অপমানকরভাবে প্রকাশ করে পরিবারের সম্মানহানি করার চেষ্টা হচ্ছে। তাঁর বাবা ও প্রয়াত মা’কে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন। খোলা চিঠিতে তিনি লেখেন, “মাননীয় মন্ত্রীর এমন কর্মকাণ্ডে গত কয়েকদিন ধরে আমার পরিবারের সদস্য অত্যন্ত মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করতে হচ্ছে। কোনও কারণ ছাড়া তাঁর এমন কাজে আমিও অত্যন্ত আহত।”