সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভিড়ে ভিড়াক্কার মেট্রো স্টেশন। দাঁড়িয়ে থাকতে হয় কোনও মতে। কিন্তু তাতেও রেহাই নেই। চোখ রাখতেই উপরের দিকে। স্টেশন জুড়ে পায়রার বাসা। তারা যখন তখন প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেয়। ফলাফল ভুগতে হয় যাত্রীদের। নোংরা হয়ে যায় জামাকাপড়। এই সমস্যা থেকে যাত্রীদের বাঁচাতে বাজপাখির (Hawk) সাহায্য নিল তারা। সান ফ্রান্সিসকো (San Francisco) মেট্রো কর্তৃপক্ষের এমন আশ্চর্য পদক্ষেপ সত্যি অবাক করার মতো।
এই বাজপাখির নাম প্যাকম্যান। পাঁচ বছরের এই বাজপাখিকে ভাড়া করা হয়েছে পায়রাদের ভয় দেখাতে। রোজ নয়, সপ্তাহে তিনদিন ‘ডিউটি’ করতে হয় প্যাকম্যানকে। সান ফ্রানসিস্কোর এল সেরিতো দেল নোরতে মেট্রো স্টেশনে টহলদারি করে বেড়ায় সে। উদ্দেশ্য একটাই, তাকে দেখলে পায়রাদের ‘আত্মারাম খাঁচাছাড়া’ হওয়ার জোগাড় হবে। আর তাহলেই তারা স্টেশন চত্বরের বাস উঠিয়ে যাত্রীদের রেহাই দেবে।
[আরও পড়ুন: ‘অন্যায়ের শেষের অপেক্ষায়’, বিলকিস বানোর ধর্ষকদের মুক্তির প্রতিবাদে সরব তৃণমূলের মহিলা সাংসদরা]
আর সেই উদ্দেশ্য দারুণ ভাবে সফল। কার্যত পায়রাশূন্য হয়ে গিয়েছে ওই স্টেশন। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন নিত্যযাত্রীরা। আগে আচমকাই পাখির বিষ্ঠায় ময়লা হয়ে যেত পোশাক আশাক। এখন সেই বালাই নেই। রোজই রিকি ওর্তিজ নামের এক ব্যক্তি স্টেশনে পায়চারি করেন। কাঁধে বা হাতে বসে থাকে প্যাকম্যান। রিকিই ওই বাজপাখিটির মালিক। বাজপাখির শিকার পায়রা। কাজেই চোখের সামনে ওই ‘ঘাতক’কে দেখে পিঠটান দিয়েছে স্টেশনের ছাদের খাঁজে বাসা বাঁধা জনা কুড়ি পায়রা।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের সঙ্গে কথা বলার সময় রিকি জানাচ্ছেন, প্রথম সপ্তাহেই তাঁরা দেখতে পান অর্ধেকেরও কম হয়ে গিয়েছে পায়রার সংখ্যা। রসিকতা করে তিনি বলেছেন, ”কে আর সাধ করে বাজপাখির লাঞ্চ হতে চাইবে!”
খুশি যাত্রীরা। এভাবে পায়রাদের ঘরছাড়া হতে হল বলে দুঃখপ্রকাশ করলেও তাঁরা জানাচ্ছেন, পরিস্থিতি এমনই দাঁড়িয়েছিল এমন কিছু করা ছাড়া মেট্রো কর্তৃপক্ষের আর কোনও উপায় ছিল না। তবে নিয়মিত প্যাকম্যানকে টহল দেওয়ার জন্য আনা হবে না। জানা যাচ্ছে, শিগগিরি স্টেশনের সিলিংয়ে নেট টাঙানো হচ্ছে। লাগানো হচ্ছে কাঁটা। তাতেই পায়রার হাত থেকে স্থায়ী পরিত্রাণ মিলবে।