সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রুশ হানায় বিধ্বস্ত ইউক্রেন (Russia-Ukraine War)। মারিওপোলের মতো জমজমাট শহরও যেন কার্যত মৃত্যুপুরী। এহেন পরিস্থিতিতে আচমকা সুর নরম করল আমেরিকা। এক শীর্ষ মার্কিন আমলার কথায়, ইউক্রেনে আগ্রাসন থামালে রাশিয়ার উপর যে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে তা প্রত্যাহার করে নিতে পারে আমেরিকা।
[আরও পড়ুন: নতুন মন্ত্রিসভা শ্রীলঙ্কায়, প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা ছাড়া রাজাপক্ষে পরিবারের কেউ নেই ক্যাবিনেটে]
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, মস্কোর উপর চাপানো নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন আমেরিকার ডেপুটি ট্রেজারি সেক্রেটারি ওয়ালি আদেমো। তাঁর কথায়, “আমরা এটা সবসময় নিশ্চিত করতে চাই যে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা চাপানোর পর পরিস্থিতিতে বদল ঘটলে তা যেন প্রত্যাহার করা যায়। যাদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে তারা যেন বুঝতে পারে যে ব্যবহারে বদল ঘটানোই নিষেধাজ্ঞার মূল উদ্দেশ্য।” বিশ্লেষকদের মতে, এদিন ওয়ালি আদেমো স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছেন, ইউক্রেনে আগ্রাসন থামালে আবারও রাশিয়াত সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে আগ্রহী আমেরিকা। এবং এই সুর নরম করার কারণ হচ্ছে, জার্মানির মতো ইউরোপীয় দেশগুলি তেল ও গ্যাসের জন্য রাশিয়ার উপর নির্ভরশীলতা। এবং পর্দার আড়ালে জ্বালানি ইস্যুতে ওয়াশিংটন বনাম ব্রাসেলস তরজা চলছে।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, ২০ এপ্রিল অর্থাৎ আগামীকাল ওয়াশিংটনে জি-২০ দেশগুলির অর্থমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধানরা বৈঠকে বসতে চলেছেন। পাশাপাশি, একই সময়ে আলোচনায় বসছেন জি-৭ দেশগুলির প্রতিনিধিরাও। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে আন্তর্জাতিক বাজারে অশোধিত তেল ও গ্যাসের যে ব্যাপক হারে দাম বাড়ছে সেই কথা উঠে আসবে আলোচনায়। বিশ্ব বাজারে রুশ তেলের বিকল্প যে এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি আমেরিকার ডেপুটি ট্রেজারি সেক্রেটারির বয়ানে তা স্পষ্ট।
উল্লেখ্য, এই বৈঠকের দিকে নজর রেখেছে ভারত। কারণ, রুশ তেল কেনা নিয়ে সম্প্রতি আমেরিকার ক্ষোভের মুখে পড়েছে নয়াদিল্লি। সম্প্রতি, একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, ইউক্রেন যুদ্ধে ‘রাশিয়ার পাশে’ থাকার কারণে আসন্ন জি-৭ (G-7 Summit) বৈঠকে ভারতকে আমন্ত্রণ জানাবে না জার্মানি (Germany)। সেই গুজব উড়িয়ে দিয়েছে বার্লিন।
এবার জি-৭ শীর্ষ বৈঠকের আয়োজক দেশ জার্মানি। আগামী জুনে জার্মানির বাভারিয়া প্রদেশের রাজধানী মিউনিখের জি-৭ বৈঠক হওয়ার কথা। জার্মানি চাইছে সেনেগাল, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইন্দোনেশিয়াকে বৈঠকের জন্য আমন্ত্রণ জানাতে। ওই বৈঠকে ভারত কী বার্তা দেয় সেটাও লক্ষণীয় বিষয় হবে।