shono
Advertisement

পুজোর আগেই থিমের চমক, শহর মাতাচ্ছে ‘বালির গণেশ’

মণ্ডপে পা দেওয়ার আগে দেখে নিন বালুশিল্পের সেই অপূর্ব কাজ। The post পুজোর আগেই থিমের চমক, শহর মাতাচ্ছে ‘বালির গণেশ’ appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 02:51 PM Aug 24, 2017Updated: 06:34 PM Oct 03, 2019

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কার্তিক ঠাকুরকে কেন যে শুধু হ্যাংলা বলা হয় কে জানে! মায়ের সঙ্গে আসে একবার। আর একবার আসে একলা। এ হ্যাংলামো তো শুধু তার একার নয়। দুগ্গা ঠাকুরের আর তিন পুত্র-কন্যারও একই বাতিক। আর তাই মায়ের সঙ্গে আসার আগেই হাজির হয়েছেন গণপতি। তার আঁচই গোটা শহর জুড়ে। আপাতত বালির গণেশেই মজেছে শহরবাসী। সৌজন্যে, কসবার গার্ডেন কমিটি।

Advertisement

দুর্গাপুজো মানেই এখন হরেক থিমের ঘনঘটা। অপেক্ষায় নানা চমক। হাজার বিষয় বৈচিত্র। তবে তার আগেই শহরকে থিমের স্বাদ দিতে তৈরি গার্ডেন কমিটি। এবার তাদের গণেশ পুজোর সাতে পা। তাদের উদ্যোগেই শহর দেখবে বালির গণেশ। হ্যাঁ, গোটা গণেশ মূর্তিই তৈরি হয়েছে বালি দিয়ে। ঠিক যে ধরনের শিল্প দেখা যায় পুরীর সমুদ্র সৈকতে। বস্তুত পুরী বেড়াতে গিয়েই এই পরিকল্পনা মাথায় আসে কমিটির সম্পাদক বাপি দে-র। জানালেন, “গত ফেব্রুয়ারিতে পুরী বেড়াতে গিয়েছিলাম। বিচের উপর বালির নানা মূর্তি দেখেই পুরো ব্যাপারটা মাথায় আসে। ভাবলাম এই জিনিস শহরেও তো তুলে নিয়ে যাওয়া যায়, বেশ হয়। গণেশ ঠাকুরই যদি বালি দিয়ে তৈরি হয় তবে মন্দ কী!” মন্দ যে নয় তা আজ টের পাচ্ছেন পুজো উদ্যোক্তারা। মোটামুটি গোপনীয়তা রক্ষা করেই এতদিন চলেছে কাজকর্ম। পুরী থেকে এসেছেন শিল্পী হৃষীকেশ নায়ক ও তাঁর টিম। মূল গণেশ মূর্তি তাঁরা তৈরি করেছেন বালি দিয়েই। এছাড়া মণ্ডপ ঢোকার মুখটা হয়েছে অনেকটা পুরনো কোনও রাজবাড়ির সিংহদুয়ারের আদলে। সেখানেও বিভিন্ন মূর্তি রাখা আছে। বালুশিল্পের চমৎকার নমুনা ফুটে উঠেছে সে কাজে। এতদিন সবই ছিল চোখের আড়ালে। আজ সকাল থেকেই স্থানীয় মানুষের উত্তেজনা টের পাচ্ছেন। শহরের মধ্যে বালুশিল্পের এই চমকপ্রদ কাজ দেখতে ইতিমধ্যেই সাড়া পড়েছে। সম্পাদক জানাচ্ছেন, “মানুষের এই সাড়াটুকুই তৃপ্তির।”

তবে এখানেই শেষ নয়। এ পুজোর সভাপতি মিন্টু মুন্সি। তিনি ইসলাম ধর্মাবলম্বী। পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে আছেন সাত বছর। কোথাও কোনও সমস্যা নেই। বরং সমান আন্তরিকতায় হিন্দু ও মুসলিম সব ধর্মের মানুষই একসঙ্গে মেতেছেন গণপতি আরাধনায়। মিন্টুবাবু জানালেন, “এখন তো হিন্দু মুসলিম নিয়ে এত বিরোধের কথা শুনি। কিন্তু কই আমার তো কখনও কোথাও অসুবিধা হয়নি। পুজো কমিটিতে এই সাত বছর ধরে আছে। চাইলেই এই সম্প্রীতি বজায় রাখা যায়। যদি আমরা একটু সদিচ্ছা দেখাই।”

এই ক’বছর আগেও গণেশ পুজো বাংলার বুকে ততটা চেপে বসেনি। গণপতি বাপ্পা মোরিয়া-ধ্বনি যেন মুম্বইয়ের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কিন্তু সে মিথ ভেঙেছে। এখন শহরও দাপিযে বেড়াচ্ছেন গণপতি বাপ্পা। জাঁকজমক, আড়ম্বরের খামতি নেই। তাই পুজোর আগেই থিমের আঁচ, চমক দিতে তৈরি হচ্ছেন উদ্যোক্তারা। এসবের মধ্যে বালির গণেশ যে ইতিমধ্যেই হিট, তা বলাই যায়।

এদিকে বড় বড় পুজো ছাড়াও সাধারণ মানুষও বাড়িতে নিজের মতো করে ব্যস্ত গণপতি আরাধনায়। আর সেখানেও এবার দাপট বাহুবলীর। সিনেমার আদলে তৈরি গণপিত মূর্তির চাহিদা তুঙ্গে হায়দরাবাদে। গণপতি বাপ্পা কী করে বাংলার সীমানায় এমন করে ঢুকে পড়লেন, সে আলোচনা মুলতুবি থাক। আপাতত গণেশ পুজোতেই শিল্প বৈচিত্রের এই সমাহারে মগ্ন শহর।

The post পুজোর আগেই থিমের চমক, শহর মাতাচ্ছে ‘বালির গণেশ’ appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement