ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) অশান্তির ঘটনায় যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তারা গ্রেপ্তার হচ্ছে। আরও গ্রেপ্তার হবে। জ্বলন্ত সন্দেশখালি নিয়ে দিন দুই আগে মুখ্যমন্ত্রীর এটুকু মাত্র প্রতিক্রিয়াই পাওয়া গিয়েছিল। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে সন্দেশখালি নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া শোনালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। অশান্তির নেপথ্যে তিনি আরএসএসের নাম করলেন। তাঁর কথায়, ”ওখানে আগে ইডি(ED) ঢুকল। এখন বাইরে থেকে লোক ঢুকিয়ে মহিলাদের সামনে রেখে এসব করছে। কারও সমস্যা থাকতেই পারে। তার তদন্ত হবে। তা নয়, আগেই কাকে কান নিয়ে পালাল বলে রব উঠল, আর এরাও দৌড়ল! ওখানে আরএসএসের (RSS) একটা বাসা আছে অনেক আগে থেকেই। সন্দেশখালি আজকের না।”
বৃহস্পতিবার বিধানসভায় এসে মুখ্যমন্ত্রী একাধিক বিষয়ে বক্তব্য রাখেন। তবে নজরে ছিল, এই মুহূর্তে সবচেয়ে আলোচিত সন্দেশখালির পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান কী বলেন, সেদিকে। তিনি বললেন, ”সন্দেশখালিতে আরএসএসের একটা বাসা আছে। ৭,৮ বছর আগেও সেখানে একটা সাম্প্রদায়িক অশান্তি হয়েছিল। এমনিতেই ওটা দাঙ্গাপ্রবণ এলাকা। সেখানে মুখে মাস্ক পরে গোলমাল করা হচ্ছে। বহিরাগতরাই সন্দেশখালিতে এত গোলমাল পাকাচ্ছে।”
[আরও পড়ুন: সন্দেশখালিকে উত্তপ্ত করতে ‘নন্দীগ্রাম মডেল’! বিজেপির ষড়যন্ত্র ফাঁস করে অডিও প্রকাশ কুণালের]
দু মাসেরও বেশি সময় ধরে সন্দেশখালির একাধিক এলাকায় উত্তেজনা। স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে অত্য়াচারের অভিযোগে সরব গ্রামবাসীরা। বিশেষত সেখানে বিক্ষোভের ঘটনায় প্রথম সারিতে মহিলারা। তাঁদের যাবতীয় অভিযোগ যথেষ্ট স্পর্শকাতর। তা নিয়ে পদক্ষেপ নিচ্ছে রাজ্য প্রশাসন। এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সক্রিয় পুলিশ প্রশাসন, তেমনই রাজ্য মহিলা কমিশনও সেখানে গিয়ে মহিলাদের অভিযোগ খতিয়ে দেখেছে। তা নিয়ে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারকে। সেসবের ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।