সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্দেশখালি ইস্যুতে এবার বাকযুদ্ধে জড়ালেন স্মৃতি ইরানি ও মহুয়া মৈত্র। দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করে কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির দাবি, সন্দেশখালিতে মহিলাদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে। সব দেখেও চুপ রাজ্য সরকার। দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। তবে কেন্দ্র চুপ করে বসে থাকবেন না বলেও সাফ জানান স্মৃতি। তাঁর কথায়, “সাংবিধানিক মর্যাদা রক্ষা করেই যাবতীয় পদক্ষেপ হবে।” কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এহেন আক্রমণের পালটা দিয়েছেন তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ মহুয়া মৈত্র। মণিপুর, বিলকিস বানো, মহিলা কুস্তিগির-ব্রিজভূষণ প্রসঙ্গ টেনে তাঁর প্রশ্ন, এই তিন ইস্যুতে কেন দর্শকের ভূমিকা পালন করলেন স্মৃতিরা?
সন্দেশখালি ইস্যুকে হাতিয়ার করে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছে বিজেপি। বিষয়টিকে জাতীয় ইস্যু বানানোর চেষ্টাও চলছে বলেই মত রাজনৈতিক মহলের। আর তাই বিষয়টি নিয়ে দিল্লি থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি বলেছেন, সন্দেশখালিতে মহিলাদের সঙ্গে কী হচ্ছে তা গোটা দেশের জানা উচিত। এর পরই স্মৃতি অভিযোগ করেন, সন্দেশখালিতে মহিলাদের উপর অত্যাচার করছে তৃণমূলের লোকেরা। সব দেখেও চুপ করে রয়েছে রাজ্য় সরকার। তাঁর প্রশ্ন, “শাহজাহান শেখকে কেন গ্রেপ্তার করছে না পুলিশ? উলটে বিরোধীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।” সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে স্মৃতি জানান, নিয়ম মেনে পদক্ষেপ করবে কেন্দ্র।
[আরও পড়ুন: বাংলাকে বঞ্চনার প্রতিবাদ! ১০০ দিনের বকেয়া চেয়ে মোদিকে চিঠি রাহুলের]
বিজেপির এই আক্রমণের পরই পালটা দেন মহুয়া মৈত্র। এক্স হ্যান্ডেলে (সাবেক টুইটার) তিনি লেখেন, “মাননীয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেছেন, দর্শক হয়ে থাকতে পারব না। সত্যিই কি তাই? মণিপুর, বিলকিস বানো, মহিলা কুস্তিগির-ব্রিজভূষণ ইস্যুতে তাহলে দর্শকের ভূমিকা পালন করলেন কেন?”