সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইডি হামলার ৫৬ দিনের মাথায় খাঁচাবন্দি সন্দেশখালির ‘বাঘ’। এখনও থমথমে দ্বীপাঞ্চল। এলাকায় মোতায়েন বিশাল পুলিশবাহিনী। টহল দিচ্ছে ব়্যাফ। অশান্তি যাতে আর না ঘটে তাই সন্দেশখালির ২৩টি জায়গায় নতুন করে জারি ১৪৪ ধারা। বসিরহাট মহকুমা আদালতের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ আদালত চত্বর।
পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার রাতে সন্দেশখালির মিনাখাঁর বামনপুকুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় শেখ শাহজাহানকে। লঞ্চে করে আনা হয় ন্যাজাটে। সেখান থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বসিরহাট মহকুমা আদালতে। আপাতত কোর্ট লকআপে রাখা হয়েছে তাঁকে। জানা গিয়েছে, তদন্তের স্বার্থে শাহজাহানকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করবে পুলিশ। বিঘার পর বিঘা জমি ও ভেড়ি দখল, নারী নির্যাতন-সহ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে পাহাড় প্রমাণ অভিযোগ রয়েছে গ্রামবাসীদের। বলে রাখা ভালো, এর আগে শেখ শাহজাহানের সাগরেদ উত্তম সর্দার এবং শিবু হাজরাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: অবশেষে গ্রেপ্তার সন্দেশখালির ‘ত্রাস’ শেখ শাহজাহান]
গত ৫ জানুয়ারি তাঁর খোঁজে সন্দেশখালির সরবেড়িয়ার বাড়িতে যান ইডি আধিকারিকরা। দুটি মোবাইল নম্বরে বার বার তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। একটি নম্বর দীর্ঘক্ষণ ব্যস্ত ছিল। তবে আরেকটি নম্বরে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়। ইডির কথা শুনেই ফোন কেটে দেন শেখ শাহজাহান। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই কয়েকশো লোক জমা হয়ে যায়। মারধর করা হয় ইডি আধিকারিকদের। ঝরে রক্ত। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গাড়িতেও ভাঙচুর করা হয়। তার পর থেকেই ফাঁকা সাম্রাজ্য। এলাকাছাড়া হয়ে যান সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশা’। দফায় দফায় জ্বলে ওঠে সন্দেশখালির গ্রামের পর গ্রাম। কোথায় রয়েছেন শেখ শাহজাহান, তা নিয়ে টানাপোড়েন কিছু কম হয়নি। জল গড়িয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টে। টানাপোড়েনের শেষে শেষমেষ গ্রেপ্তার শাহজাহান। স্বস্তিতে স্থানীয়রা।