অভিরূপ দাস: কোভিড (COVID-19) আক্রান্ত বাংলার শ্রদ্ধেয় সংগীতশিল্পী গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। ২৬ তারিখ অসুস্থতা নিয়ে এসএসকেএমে হাসপাতালে ভরতি হওয়ার পরই তাঁর করোনা (Coronavirus)পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপর ২৭ তারিখ তাঁকে হাসপাতালে দেখতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার খবর জানান মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গ্রিন করিডর করে সংগীতশিল্পীকে এসএসকেএম থেকে নিয়ে যাওয়া হয় বাইপাসের ধারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। রাতেই তাঁর শারীরিক অবস্থার কথা বুলেটিনে জানান চিকিৎসকরা। এখন কেমন আছেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় (Sandhya Mukhopadhyay)? শুক্রবার সকালে হাসপাতাল সূ্ত্রে মিলল সেই খবর।
জানা গিয়েছে, তাঁর রক্তচাপ (Blood Pressure) অনেকটা কম। যান্ত্রিকভাবে তা স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছেন চিকিৎসকরা। এছাড়া ফুসফুসে সংক্রমণও ছড়িয়ে পড়ছে। এই অবস্থায় ৯০ বছরের সংগীতশিল্পীকে নিয়ে কিছুটা চিন্তিত চিকিৎসকরা। তাঁর চিকিৎসায় ৫ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড তৈরি হয়েছে। তাঁরাই সর্বক্ষণ সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন।
[আরও পড়ুন: ‘নতুন নীতিশাস্ত্র তৈরি করার আপনি কে?’, রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে দলীয় মুখপত্রে তোপ তৃণমূলের]
হাসপাতাল সূত্রে খবর, গায়িকা আপাতত স্থিতিশীল। তবে তাঁর বেশ কয়েকটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ঠিকমতো কাজ করছে না ((Mutiorgan dysfunction)। ফিমার (Femur) বরাবর বাঁ দিকে চোট রয়েছে। দিন দুই আগে নিজের বাড়ির শৌচালয়ে পড়ে গিয়েছিলেন নবতিপর শিল্পী। তাতেই হাড়ে চোট লেগেছে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। তবে জ্বর নেই তাঁর। স্বাভাবিক খাওয়া-ঘুমও হয়েছে। যদিও রাইলস টিউব দিয়ে সংগীতশিল্পীকে খাওয়ানো হয়।
[আরও পড়ুন: ‘পিঁড়ি থেকে যদি পড়ে যাই!’ সাত পাকে ঘুরতে গিয়ে ভয়ে কাঁটা মৌনী রায়]
কার্ডিওথোরাসিক সার্জারির বিভাগীয় প্রধান ডাক্তার সুশান মুখোপাধ্যায় ও কার্ডিওলজির প্রধান ডাক্তার প্রকাশচন্দ্র মণ্ডলের নেতৃত্বে তাঁর চিকিৎসা চলছে। তাঁরা জানান, দিনে গড়ে ২ লিটার করে বাড়তি অক্সিজেন দিতে হচ্ছে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে। তারপর তাঁর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা স্বাভাবিক রাখা সম্ভব হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাতে এই হাসপাতালে ভরতি হওয়ার পর সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের বেশ কিছু পরীক্ষানিরীক্ষা করা হয়। শুক্রবার সমস্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর ৫ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড চিকিৎসার পরবর্তী ধাপ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বলে খবর।