সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হারের জন্য দায়ী প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। মহারাষ্ট্রের ভোটে হেরে আজব যুক্তি সাজালেন শিব সেনা উদ্ধব শিবিরের নেতা সঞ্জয় রাউত। তিনি বলছেন, এখনই যদি ব্যালট পেপারে ভোট করানো হয়, তাহলে ফলাফল এমন হবে না।
মহারাষ্ট্রের ভোটের ফল বলছে, ২৮৮ আসনের মধ্যে শাসক জোটের দখলে ২৩৫ আসন! বিরোধী শিবিরের তিন বড় দল সম্মিলিতভাবে পেয়েছে মাত্র ৪৯টি আসন। মারাঠাভূমে সাম্প্রতিক অতীতে এমন একপেশে ফলাফল হয়নি। এই ফলাফলের পর থেকেই বিরোধী শিবির উদভ্রান্ত। সম্মিলিতভাবে বিরোধীরা এই ফলাফল খারিজ করে দুষছে ইভিএমকে। আর সঞ্জয় রাউত আরও এককাঠি উপরে গিয়ে বিঁধছেন খোদ প্রাক্তন প্রধান বিচারপতিকে।
সঞ্জয় রাউত বলছেন, "এই নির্বাচনের সবচেয়ে বড় ইস্যুই হল ইভিএম। এই ফলাফল থাক। কিন্তু আর একটা নির্বাচন হোক। ব্যালট পেপারে ভোট নেওয়া হোক। তারপর ওরা এই ফলাফল করে দেখাক।" তাঁর সাফ কথা, "মহারাষ্ট্রে আজ যা যা হচ্ছে, সবকিছুর জন্য দায়ী একজন। মিস্টার ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়।" কিন্তু কীভাবে চন্দ্রচূড়কে দায়ী করছেন তিনি? সেই ব্যাখ্যা দেননি। আসলে ডিওয়াই চন্দ্রচূড় প্রধান বিচারপতি থাকাকালীনই যেহেতু দেশে ব্যালট ফেরানোর দাবি খারিজ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। মনে করা হচ্ছে, সেকারণেই চন্দ্রচূড়কে 'ভিলেন' বানাতে চাইছেন রাউত।
সম্প্রতি হরিয়ানা হোক বা মহারাষ্ট্র। নির্বাচনে হারের পর ইভিএমের দিকে আঙুল তুলেছে বিরোধী শিবির। আগেও এই বার বার হারের কারণ হিসেবে ইভিএমকে দায়ী করা হয়েছে। যদিও নির্বাচন কমিশনের তরফে এহেন অভিযোগ পত্রপাঠ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে প্রতিবারই। মঙ্গলবারই সুপ্রিম কোর্ট এই সংক্রান্ত একটি মামলা খারিজ করেছে। আদালতের প্রশ্ন, যখন বিরোধীরা জেতে তখন তো ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয় না!