সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুদীপ্ত সেনের বিস্ফোরক চিঠি নিয়ে শনিবার তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (CM Mamata Banerjee) চিঠি লেখেন সারদা কর্তা। ১ ডিসেম্বর লেখা সেই চিঠিতে খোদ সুপারের সইও রয়েছে। অর্থাৎ চিঠিটি যে সুদীপ্ত সেনই লিখেছেন, তা সুনিশ্চিত করেছেন সুপার। সেই চিঠিতেই রাজ্যের একাধিক নেতা-মন্ত্রীর নাম উল্লেখ করে তাঁদের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন সারদা কর্তা।
[আরও পড়ুন: রাজ্যপালের কাছে নালিশের পরদিনই বদলি, ‘শাস্তিমূলক রাজনৈতিক প্রতিহিংসা’ বলে দাবি বৈশাখীর]
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে পৌঁছে গিয়েছে সেই চিঠি। কী রয়েছে সেই চিঠিতে? সারদা চিটফান্ড ব্যবসা চালানোর জন্য কাকে কত পরিমাণ অর্থ দিয়েছিলেন, তারই উল্লেখ করেছেন সুদীপ্ত সেন। সেখানেই রয়েছে শুভেন্দু অধিকারী, মুকুল রায়ের নাম। এমনকী তিনি জানান, টাকা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে সিপিএম ও কংগ্রেস নেতাদের কাছেও। সুদীপ্ত সেনের দাবি, শুভেন্দু অধিকারী ৬ কোটি, অধীর চৌধুরী ৬ কোটি, সুজন চক্রবর্তী ৯ কোটি এবং বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু ২ কোটি টাকা নানা সময় তাঁর থেকে নিয়েছেন। তবে মুকুল রায়কে দেওয়া অর্থের পরিমাণ লেখা নেই সেখানে। চিঠিতে সিবিআই ও রাজ্য পুলিশকে উপযুক্ত পদক্ষেপ করার অনুরোধও জানিয়েছেন সারদা কর্তা।
বিস্ফোরক এই চিঠি সামনে আসার পর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী সাফ জানিয়েছেন, তিনি কোনও ‘চোরে’র কথার উত্তর দেবেন না। এদিকে সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের দাবি হাস্যকার বলে উড়িয়ে দিয়েছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তাঁকে দিয়ে টাকা নেওয়ার কথা লেখানো হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। সুজনের অভিযোগ, ভোটের আগে হঠাৎ করে সিপিএমকে খুঁজে পেয়েছেন মোদি ও মমতা। যাঁদের এতদিন দূরবীন দিয়েও খুঁজে পাচ্ছিলেন না। আসলে তৃণমূল ও বিজেপি বুঝতে পারছে বামেরাই তাঁদের মূল প্রতিপক্ষ। তাই সুদীপ্ত সেনের মতো লোককে দিয়ে এসব লেখানো হয়েছে। সিট, সিবিআই তদন্ত করে একজন সিপিএম নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলতে পারেনি। আর ভোটের আগে বিমান বসুর মতো নেতা টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ করানো হয়েছে। এসব করে দুই শাসকদল মানুষের কাছে আরও হাস্যকর হচ্ছে বলেই মনে করেন বাম পারিষদীয় দলনেতা।