সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরমাণু বিজ্ঞানী মহসিন ফকরিজাদের হত্যা নিয়ে নয়া দাবি করল ইরান সরকার (Iran)। তেহরান জানিয়েছে, স্যাটেলাইট নিয়ন্ত্রিত ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন অত্যাধুনিক মেশিনগানের গুলিতে ফিল্মি কায়দায় হত্যা করা হয়েছে তাদের পরমাণু বিজ্ঞানীকে। ইরান যাতে পরমাণু অস্ত্রের অধিকারী হতে না পারে সেজন্যই এই হামলা চালিয়েছে শত্রু ইজরায়েল (Israel) ও আমেরিকা (USA)।
[আরও পড়ুন: তৃতীয় বিশ্বের দেশের মতো মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও রিগিং হয়েছে, ফের তোপ ট্রাম্পের]
ইরানের এলিট বাহিনী রেভলিউশনারি গার্ডের ডেপুটি কমান্ডার এবং ইরানের নৌবাহিনীর রিয়ার অ্যাডমিরাল আলি ফাদভাই মেহর নিউজ এজেন্সিকে জানিয়েছেন, জাপানি নিশান কোম্পানির একটি পিক আপ ভ্যানের পিছনে ওই অটোমেটিক মেশিনগানটি বসানো ছিল। সেটি ছিল উপগ্রহ মারফত নিয়ন্ত্রিত। আমরা তদন্তে নিশ্চিত হয়েছি যে, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রযুক্তি ও স্বয়ংক্রিয় অনলাইন ক্যামেরার মাধ্যমে গুপ্তঘাতকরা ওই মেশিনগানটি নিয়ন্ত্রণ করছিল। গাড়িতে চালকের পাশের আসনে বসে থাকা বিজ্ঞানীকে পিন পয়েন্ট টার্গেট করে মেশিনগানটি। তারপর কয়েক সেকেন্ড ধরে ১৩ রাউন্ড গুলি চালায়। বিজ্ঞানী ফকরিজাদের মাথা ও বুক গুলিতে ঝাঁজরা হয়ে যায়। অথচ মাত্র ১০ ইঞ্চি দূরে বসে থাকা তাঁর স্ত্রী ছিলেন সম্পূর্ণ অক্ষত। আতঙ্কে তিনি জ্ঞান হারান। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমেই কৃত্রিম উপগ্রহ নিয়ন্ত্রিত মেশিনগান থেকে গুলি চালানো হয়েছিল বলেই আর কারও আঘাত লাগেনি। তবে বিজ্ঞানীর গাড়ির আগে থাকা তাঁর দেহরক্ষীদের গাড়িটিতে আত্মঘাতী হামলা চালায় সন্দেহভাজন জঙ্গিরা। সেখানেই বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হত্যা করা হয় তাঁর দেহরক্ষীদের। হামলার জেরে বিজ্ঞানীর গাড়িটি জোরে ব্রেক কষে থামতে বাধ্য হয়। তখনই নিশান পিক আপ ভ্যান থেকে কয়েক সেকেন্ডের টার্গেটে মেশিনগান থেকে গুলি চালিয়ে বিজ্ঞানীকে হত্যা করা হয়।
ইরানি গোয়েন্দাদের দাবি, গোটা অপারেশনটির উপর নজর রাখা হচ্ছিল ইজরায়েল ও আমেরিকার মাটি থেকে। রীতিমতো ছক কষে হলিউডি সিনেমার কায়দায় পরমাণু বিজ্ঞানীকে হত্যা করা হয়েছে। যদিও ইরানের সর্বোচ্চ প্রধান ও ধর্মীগুরু আয়াতোল্লা আলি খামেনেই জানিয়েছেন, এর ভয়াবহ বদলা নেওয়া হবে। ইরান পরমাণু অস্ত্রের অধিকারী হবেই। হামলা চালিয়ে ইরানকে থামানো যাবে না।