সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাদাখ সীমান্তে শান্তির বুলি আওড়ালেও যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে চিন। এবার তিব্বতে (Tibet) লালফৌজের আগ্রাসী কার্যকলাপ ফাঁস করে দিয়েছে উপগ্রহ থেকে তোলা বেশ কিছু ছবি।
[আরও পড়ুন: রাজনৈতিকভাবে ‘নিরপেক্ষ’, সিআইএ’র প্রধান পদের জন্য বিডেনের পছন্দ বার্নস]
সোমবার চিনা সেনাবাহিনীর সামরিক কার্যকলাপের বিষয়ে বেশ কিছু ছবি টুইটারে পোস্ট করেন এক প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক। টুইটারে @detresfa নামে তিনি তিব্বতে লালফৌজের সামরিক পরিকাঠামোর ছবি তুলে ধরেন। সেখানে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে জমি থেকে আকাশে হামলা চালানোর জন্য মিসাইল মোতায়েন করছে চিন। এছাড়া, একটি রেল টার্মিনাল, জ্বালানি ভাণ্ডার, মাটির নিচে বাঙ্কার ও বেশ কয়েকটি বিল্ডিং নির্মাণের প্রক্রিয়া ফুটে উঠেছে স্যাটেলাইট থেকে তোলা ছবিগুলিতে। বিশ্লেষকদের মতে, ভারতের সঙ্গে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (LAC) বরাবর যোগাযোগ ব্যবস্থা মজবুত করতে ও মুহূর্তের মধ্যে হামলা চালানোর জন্য পরিকাঠামো নির্মাণ করছে লালফৌজ। বেলজিয়ামের প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ সিম টেকের দাবি, আকসাই চিন দি অরুণাচল প্রদেশ পর্যন্তসীমান্তে ক্রমেই সামরিক পরিকাঠামো মজবুত করছে চিন।
উল্লেখ্য, হাড়হিম করা ঠান্ডার মাঝেও উত্তেজনায় উত্তপ্ত ভারত-চিন সীমান্ত। লাদাখে লালফৌজের আগ্রাসনের পর থেকেই মুখোমুখি আণবিক ক্ষমতা সম্পন্ন দুই পড়শি দেশ। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (LAC) একটি ক্ষুদ্র স্ফুলিঙ্গ ঘটাতে পারে যুদ্ধের বিস্ফোরণ। পরিস্থিতি যে রীতিমতো উত্তপ্ত, গত ডিসেম্বর মাসে বিজয় দিবস উপলক্ষে তা রাখঢাখ না করেই জানিয়েছিলেন ভারতীয় সেনার ইস্টার্ন কমান্ডের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিল চৌহান। তিনি জানিয়েছিলেন, সিকিম ও অরুণাচল প্রদেশ সীমান্তে দ্রুত সামরিক পরিকাঠামো নির্মাণ করছে চিনা সেনাবাহিনী (China)। লাদাখ সীমান্তে চিনা আগ্রাসন ও গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের পর চিন ও ভারতের সেনাবাহিনীর মধ্যে বিশ্বাস সম্পূর্ণ উবে গিয়েছে। শীতের জন্য প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর কিছু সংখ্যক সেনা প্রত্যাহার করেছে ভারত। ইস্টার্ন কমান্ডের অধীনে সিকিমে প্রায় অরুণাচল প্রদেশে হাজার কিলোমিটারেরও বেশি সীমান্ত ভাগ করে নিয়েছে দুই দেশ। সিকিমে ও অরুণাচলের কামেং সীমান্তে দ্রুত সামরিক পরিকাঠামো তৈরি করছে পিপলস লিবারেশন আর্মি। সীমান্তে গ্রাম তৈরি করে যাযাবরদের সেখানে বসাচ্ছে চিন। সব মিলিয়ে আলোচনার টেবিলে বসলেও বেজিংয়ের উদ্দেশ্য যে সৎ নয় তা স্পষ্ট।