সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষ হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন সীমান্তে গন্ডগোল পাকানোর ছক কষছে চিন। এর জন্য একদিকে যেমন পাকিস্তানকে মদত দিচ্ছে অন্যদিকে নেপাল ও ভুটানের জমি দখল করে ভারতীয় সীমান্ত এলাকায় পরিকাঠামো তৈরি করছে। এমনকী সেনাও মোতায়েন করছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর। কয়েকদিন আগে চিনের এক সাংবাদিকের করা টুইটের মাধ্যমে জানা যায় ডোকলাম (Doklam) মালভূমিতে ভুটান সীমান্তের ২ কিলোমিটার ভিতরে একটি গ্রাম তৈরি করেছে বেজিং। এবার প্রকাশ্যে এল একটি উপগ্রহ চিত্র যাতে দেখা যাচ্ছে, ওই গ্রামের পাশ দিয়েই একটি রাস্তা তৈরি করেছে তারা।
ওই উপগ্রহ চিত্রটি অনুযায়ী, ভুটানের দু কিলোমিটার ভিতরে প্যাঙ্গদা নামক যে গ্রামটি চিন তৈরি করেছে সেখান থেকে ৯ কিলোমিটার পর্যন্ত একটি রাস্তা ইতিমধ্যেই বানিয়ে ফেলেছে তারা। এর ফলে খুব সহজেই ডোকলাম মালভূমির জোমপেলরি এলাকায় পৌঁছে যেতে পারবে লালফৌজ। তোর্সা নদীর ধার দিয়ে তৈরি রাস্তা দিয়ে পৌঁছে যাওয়া যাবে একদম ভারতীয় সীমান্তে থাকা সেনা পোস্টের কাছে।
[আরও পড়ুন: করোনা আবহেই সেনেগালে অজানা রোগের প্রকোপ, হু হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা]
ভুটানের মাটিতে চিনের এই তৎপরতা দেখে আশঙ্কিত বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, ২০১৭ সালে ডোকলামের যে জায়গায় রাস্তা তৈরি নিয়ে ভারতের সঙ্গে চিনের ঝামেলা হয়েছিল। এই রাস্তাটি সেখানে অন্যপথে পৌঁছনোর জন্যই বানাচ্ছে শি জিনপিংয়ের প্রশাসন। তিন বছর আগে লালফৌজকে যে শৈলশিরা দখল করতে দেননি ভারতীয় সেনা জওয়ানরা সেখানেই ফের ঘাঁটি তৈরির চেষ্টা করছে ড্রাগন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয় যে ভুটানের জায়গা দখল করে একটি গ্রাম বানিয়েছে চিন। কিন্তু, এই কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন ভারতে নিযুক্ত ভুটান (Bhutan) -এর রাষ্ট্রদূত। এপ্রসঙ্গে তিনি জানান, সোশ্যাল মিডিয়াতে ভুটানের সীমান্তের মধ্যে চিন গ্রাম তৈরি করেছে বলে একটি খবর ছড়িয়েছে। ঘটনাটি সত্য নয়। এই ধরনের কোনও ঘটনাই ঘটেনি। ভুটানের সীমানার মধ্যে চিনের কোনও গ্রাম নেই। একই বার্তা দেওয়া হয়েছে থিম্পুর তরফেও। যদিও উপগ্রহ চিত্র দেখে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভুটানের এই দাবি পুরো মিথ্যে। কারণ উপগ্রহ চিত্র থেকে এটা পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে যে ভুটানের সীমানার মধ্যেই পরিকাঠামো তৈরি করেছে চিন।