shono
Advertisement
Pangong Lake

প্যাংগং হ্রদের উত্তর তীরে শতাধিক চিনা নির্মাণ! আতঙ্ক বাড়াচ্ছে উপগ্রহচিত্র

আগেই ওই এলাকায় ৪০০ মিটার দীর্ঘ ব্রিজ তৈরি করেছে লাল ফৌজ।
Published By: Kishore GhoshPosted: 05:02 PM Oct 14, 2024Updated: 05:04 PM Oct 14, 2024

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একদিকে যখন চিন ও ভারতের রাষ্ট্রনেতারা পূর্ব এশিয়ার শান্তি প্রক্রিয়ায় কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনা চালাচ্ছেন, সেই সময় প্যাংগং লেকের উত্তর তীরে ড্রাগনের আগ্রাসন অব্যাহত। আগেই দেখা গিয়েছিল, প্যাংগংয়ের উত্তর এবং দক্ষিণ তীরের একাংশ জুড়ে পাকাপোক্ত কংক্রিটের সেতু তৈরি করছে চিন। পরবর্তী উপগ্রহ চিত্রে ৪০০ মিটার দীর্ঘ ব্রিজের উপর দিয়ে যান চলাচল হচ্ছে, তাও দেখা গিয়েছিল। এবার যে উপগ্রহচিত্র সামনে এসেছে, সেখানে দেখা গিয়েছে প্যাংগংয়ের উত্তর তীরে সামরিক ব্যবহারের জন্য একাধিক ইমরাত তৈরি করে ফেলেছে লাল ফৌজ। স্বভাবতই এই ঘটনায় উদ্বেগে ভারত।

Advertisement

আমেরিকার ম্যাক্সার টেকনোলজিসের ওই উপগ্রহচিত্রগুলি ৯ অক্টোবরের। যেখানে দেখা গিয়েছে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার ৩৮ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে অসংখ্য ইমারত তৈরি করছে চিন। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে চিনা সেনার ব্যবহারের জন্য ওই ইমারতগুলি তৈরি করা হয়েছে। কমপক্ষে ১০০টি ইমরাত তৈরি হচ্ছে। এর মধ্যে প্রশাসনিক ভবন এবং সেনার আবাসনও রয়েছে। এছাড়াও ছবিতে দেখা গিয়েছে, ১৫০ মিটারের একটি জায়গা। সেটি সম্ভবত হেলিকপ্টার ওঠা-নামার জন্য তৈরি করা হচ্ছে। গত কয়েক মাসের একাধিক ছবি দেখে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংবেদনশীল ওই অঞ্চলে লাল ফৌজ ইমারত নির্মাণ শুরু করে গত এপ্রিল মাসে।

১৯৫৮ সাল থেকেই প্যাংগং হ্রদের এই অংশ চিনা দখলে। ২০২০ সালের মে মাসে ভারতীয় সেনার সঙ্গে সংঘর্ষের পরে উত্তর এবং দক্ষিণ তীরের একাংশ জুড়ে সেতু তৈরির কাজ শুরু করে চিন। যা ইতিমধ্যে সম্পূর্ণ হয়েছে। উপগ্রহচিত্র বিশেষজ্ঞ ড্যামিয়েন সিমোনের বক্তব্য, নতুন সেতুর মাধ্যমে চিনা সেনার কাছে অনেক দ্রুত সেনার রসদ এবং সামরিক সরঞ্জাম পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে। এই সব রসদ এবং সেনার স্থায়ী আবাসস্থল এবার তৈরি করে ফেলল চিন। সব মিলিয়ে সীমান্তে ড্রাগনের তৎপরতা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ভারতের।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • আমেরিকার ম্যাক্সার টেকনেলজিসের ওই উপগ্রহচিত্রগুলি ৯ অক্টোবরের।
  • প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার ৩৮ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে অসংখ্য ইমারত তৈরি করছে চিন।
Advertisement