সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইজরায়েল (Israel) আগেই আপত্তি জানিয়েছিল। এবার ইরানের সমঙ্গে আমেরিকার আণবিক চুক্তিতে ফিরে আসার সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল সৌদি আরব। আমেরিকার মিত্র দেশটি সাফ জানিয়েছে, ইরানের সঙ্গে নতুন চুক্তির ব্যাপারে আলোচনা শুরু করতে হবে এবং তাতে রিয়াধকে যুক্ত করতে হবে।
[আরও পড়ুন: বিডেনকে এখনই মার্কিন প্রেসিডেন্ট মানতে প্রস্তুত নন, স্পষ্ট জানালেন পুতিন]
রাষ্ট্রসংঘে নিযুক্ত সৌদি আরবে (Saudi Arabia) স্থায়ী দূত আবদাল্লাহ ইয়াহিয়া আল-মুয়াল্লিমি ২০১৫ সালের সমঝোতায় আমেরিকার ফিরে আসার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে বলেন, “কোনও ব্যক্তি এই সমঝোতায় ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে সজ্ঞানে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। কারণ এ সমঝোতা সারা বিশ্বের সামনে ব্যর্থ বলে প্রমাণিত হয়েছে।” মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজের এক অনুষ্ঠানে সৌদি কূটনীতিক আরও বলেন, “আমরা মনে করি না যে বিডেন প্রশাসন পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলিকে ওই পরমাণু সমঝোতা এবং ইরানের কাছে ফিরে যাওয়ার পথ করে দেবেন। বরং ইরানের সঙ্গে নতুন করে আলোচনা শুরু করতে হবে এবং সে আলোচনায় সৌদি আরবকে রাখতে হবে যাতে আগের সমঝোতার সীমাদ্ধতাগুলো দূর করা যায়।”
উল্লেখ্য, হোয়াইট হাউসে ক্ষমতা হস্তান্তরের পর ইরানের সঙ্গে আণবিক চুক্তিতে ফিরতে পারেন জো বিডেন (Joe Biden)। এমনটাই মনে করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (EU)। ইউনিয়নের বিদেশনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল একটি মার্কিন দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমন জল্পনাই উসকে দিয়েছেন। তারপরই তেহরানের সঙ্গে আণবিক চুক্তিতে ফিরলে ভুল করবেন বিডেন বলে সতর্কবার্তা দিয়েছে ইজরায়েল। বিশ্লেষকদের মতে, ‘ইসলামিক বিপ্লব’-এর সময় থেকেই ইরান-আমেরিকা সম্পর্ক আদায়-কাঁচকলায়। তেহরানে নেই কোনও মার্কিন দূতাবাসও। ইরানের বিরুদ্ধে একের পর এক আর্থিক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রম্প (Donald Trump)। এহেন পরিস্থিতিতে হোয়াইট হাউসে পটপরিবর্তন প্রক্রিয়ায় তীক্ষ্ণ নজর রেখেছে তেহরান।