সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি অস্থিরতা তৈরি করেছে বিশ্বজুড়ে। গত বছর দুই প্রাক্তন সোভিয়েত দেশের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ায় বিশ্বজুড়ে দেখা দেয় খাদ্যশস্যের অভাব। তার মধ্যে কৃষ্ণসাগরে ইউক্রেনীয় বন্দরে ভয়াবহ হামলা চালায় রাশিয়া। এহেন পরিস্থিতিতে মধ্যস্থতা করতে উদ্যোগী হয়েছে সৌদি আরব। চলতি মাসেই জেদ্দায় আন্তর্জাতিক স্তরে হতে চলা আলোচনায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ভারতকেও।
প্রসঙ্গত, দেড় বছর পেরিয়ে গিয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের। আক্রমণ পালটা আক্রমণের ধারা অব্যাহত। এখনও পর্যন্ত দু’দেশের রক্তক্ষয়ী এই সংঘাত থামার কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি। এই লড়াইয়ের প্রভাব পড়েছে গোটা দুনিয়ায়। এক রিপোর্টে মোতাবেক, ইউক্রেনে রুশ হামলার জেরে খাদ্য, জ্বালানি বা আর্থিক, কোনও না কোনও সংকটের মুখে পড়তে হয়েছে ১৬০ কোটি মানুষকে। সম্প্রতি, কৃষ্ণসাগরে ইউক্রেনীয় বন্দরে রাশিয়ার হামলায় ধ্বংস হয়েছে ৬০ হাজার টন খাদ্যশস্য। এই আবহেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সমাধান সূত্র বের করতে সৌদি আরব এই উদ্যোগ নিয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘যুদ্ধ বিকল্প হতে পারে না’, ফের আলোচনায় বসতে চেয়ে ভারতকে বার্তা শরিফের]
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আগামী ৫ ও ৬ অগাস্ট সৌদি আরবের জেদ্দায় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে রফাসূত্র খুঁজতে আন্তর্জাতিক স্তরে আলোচনার ডাক দেওয়া হয়েছে। এই আলোচনায় আমেরিকা, ব্রাজিল, মিশর, মেক্সিকো, চিলি-সহ ৩০টি দেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তালিকায় রয়েছে ভারতও। জানা গিয়েছে, এক প্রবীণ কূটনীতিককে জেদ্দায় পাঠাতে পারে বিদেশমন্ত্রক।
উল্লেখ্য, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আবহে দুই দেশের প্রধানের সঙ্গেই কথা বলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দুই দেশকেই শান্তিপূর্ণ সমাধানের কথা বলেছেন তিনি। তবে রাশিয়ার সঙ্গে মিত্রতার কারণে ভারত কখনই রাষ্ট্রসংঘে কিংবা কোনও আন্তর্জাতিক স্তরে রাশিয়ার বিপক্ষে কথা বলেনি।
অন্যদিকে, জেদ্দায় এই সম্মেলনে রাশিয়া কোনও প্রতিনিধি পাঠাবে কি না, সেই বিষয়ে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। ফলে সৌদি আরবের এই উদ্যোগের ইতিবাচক কোনও ফল মিলবে কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়।