সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সরকারি নির্দেশ মেনে মুসলিম ব্রাদারহুডের বিরুদ্ধে প্রচার করতে রাজি হয়নি। এর জেরে ১০০ জন ইমাম ও মুসলিম প্রচারককে বরখাস্ত করল সৌদি আরব। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হলেও সরকারের রোষানলে পড়ার ভয়ে সবাই চুপ করে আছেন।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, গত মাসে সৌদি আরবের ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স সংক্রান্ত মন্ত্রক (Ministry of Islamic Affairs) থেকে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, মুসলিম ব্রাদারহুডের সদস্যরা ইসলামের নামে ভুল শিক্ষা দিচ্ছে। সমাজে বিভাজন তৈরির চেষ্টা করছে। তাই দেশের প্রত্যেক ইমাম ও ইসলামিক ধর্মপ্রচারককে তাদের বিরুদ্ধে প্রচার করতে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। প্রতি শুক্রবার জম্মুার নমাজের পর মুসলিম ব্রাদারহুডের উদ্দেশ্যের বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে হবে। ওই সংগঠন নিজেদের স্বার্থে কীভাবে ধর্মকে ব্যবহার করতে চাইছে তার স্বরূপ তুলে ধরতে হবে। তারা ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা মানুষের কাছে পৌঁছনোর পরিবর্তে নিজেদের দলীয় স্বার্থ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে বলেও জানাতে হবে মানুষকে।
[আরও পড়ুন: বালোচিস্তানের উপরে পাক নির্যাতনের বিরুদ্ধে সরব তরুণীর রহস্যময় মৃত্যু! খুনের জল্পনা]
সরকারি নির্দেশে থাকা সত্ত্বেও ২০১৪ সালে সৌদি আরবে নিষিদ্ধ ঘোষণা হওয়া মুসলিম ব্রাদারহুড (Muslim Brotherhood) -এর বিরুদ্ধে কুৎসা করতে রাজি হয়নি মক্কা ও আল কাসিমের ১০০ জন ইমাম ও ইসলামিক প্রচারক। এর জেরে তাদের বরখাস্ত করার কথা ঘোষণা করল সৌদি আরবের সরকার। এর ফলে ওই ব্যক্তিরা আর কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও সভায় বক্তব্য রাখতে পারবে না।
ইমাম ও ইসলামিক প্রচারকদের বরখাস্ত করার কথা জানাজানি হওয়ার পরেই সৌদি আরবের বিভিন্ন জায়গার মানুষের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। যদিও সরকারের রোষানলে পড়ার ভয়ে মুখ খুলছে না কেউ।