সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আড়িয়াদহের জয়ন্ত কাণ্ডে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। প্রকাশ্যে এসেছে মদন মিত্র ও সৌগত রায়ের সঙ্গে তাঁর একাধিক ছবি। যা স্বাভাবিকভাবেই দলের অস্বস্তি বাড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সোমবার জয়ন্ত কাণ্ডে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হলেন সৌগত-মদন। দাবি করলেন, জয়ন্তর বাড়বাড়ন্ত সম্পর্কে তাঁদের কোনও ধারনা ছিল না। তবে ভুল সংশোধনের আশ্বাসও দিয়েছেন বর্ষীয়ান এই দুই নেতা। পাশাপাশি সাফ জানানো হল, কামারহাটি প্রসঙ্গে সৌগত রায় ছাড়া কেউ দলের তরফে কোনও মন্তব্য করতে পারবেন না। নির্দেশ না মানলে তাঁকে দলবিরোধী বলে গণ্য করা হবে। কড়া শাস্তির মুখেও পড়তে হবে।
সম্প্রতি সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল একটি নারকীয় অত্যাচারের ভিডিও। যার সূত্র ধরে উঠে এসেছে আড়িয়াদহের ত্রাস জয়ন্ত সিংয়ের নাম। তাঁকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। এর পর সোশাল মিডিয়ায় একের পর এক ভাইরাল হয়েছে জয়ন্ত বাহিনীর অত্যাচারের কাহিনী। মারধর, তোলাবাজি শুধু নয়, সরকারি জমিতে প্রাসাদোপম বাড়ি, পার্টি অফিস দখল করে ক্লাব, কী অভিযোগ নেই জয়ন্ত বিরুদ্ধে। এদিকে এসবের মাঝে প্রকাশ্যে এসেছে মদন মিত্র ও সৌগত রায়ের সঙ্গে তাঁর একাধিক ছবি। যা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে বিভিন্নমহলে। একাধিকবার সৌগত রায় (Saugata Roy) ও মদন মিত্র দাবি করেছেন, তাঁরা জয়ন্তকে চিনলেও ঘনিষ্ঠতা ছিল না।
[আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত সমিতির বৈঠক ঘিরে ধুন্ধুমার খানাকুলে! মাথা ফাটল সভাপতির]
সোমবার জয়ন্ত কাণ্ডে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হলেন সৌগত রায় ও মদন মিত্র। গোটা ঘটনার দায় ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা যে তাঁরা করলেন, তা বলাই বাহুল্য। তাঁদের কথায়, জয়ন্ত কোথায় বাড়ি করেছে। বা কত বড় বাড়ি করেছে, তা তাঁদের জানা ছিল না। জয়ন্তর জাল কতদূর ছড়িয়েছিল তাও জানা ছিল না। পাশাপাশি মিডিয়াকেও দূষেছেন সৌগত রায়। তাঁর প্রশ্ন, মিডিয়ার কাছে তো সব খবর থাকে। তাহলে কেন জয়ন্ত গ্রেপ্তারের আগে কেন সংবাদমাধ্যম কিছু জানতে পারেনি। তবে তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, যা ভুল হয়েছে। তা সংশোধন করা হবে।