অসিত রজক, বিষ্ণুপুর: লোকসভা ভোট শেষ পর্যায়ে। ষষ্ঠ দফায় বিষ্ণুপুর আসনে হয়েছে ভোট। নির্বাচন মিটতে না মিটতেই বিস্ফোরক দাবি করলেন বিদায়ী বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। বললেন, বাঁকুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং বিষ্ণুপুর থানার আইসি মোটা টাকা দিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কিনে নিয়েছে। বিষ্ণুপুর কেজি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের স্ট্রংরুমের দরজা ভেঙে ইভিএম বদলানোর চেষ্টা করছে পুলিশ।
ঠিক কী অভিযোগ সৌমিত্র খাঁর (Saumitra Khan)? বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীর কথায়, বাঁকুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং বিষ্ণুপুর থানার আইসি মোটা টাকা দিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কিনে নিয়েছে। বিষ্ণুপুর কেজি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের স্ট্রংরুমের দরজা ভেঙে ইভিএম বদলানোর চেষ্টা করছে তাঁরা। তাঁর যুক্তি, স্ট্রংরুমের ধারে কাছে রাজ্যপুলিশের যাওয়ার কথা নয়। এলাকাটি সম্পূর্ণ কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে থাকার কথা। সেখানে কীভাবে রাজ্য পুলিশের আধিকারিকরা চলে গেল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সৌমিত্র। শুধু তাই নয়, তিনি মোবাইলে তোলা একটি ফুটেজ দেখিয়ে দাবি করেন, স্ট্রংরুমের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা জওয়ানদের সঙ্গে মোটা টাকায় রফা করে নিয়েছে বাঁকুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। এমনকী তারা সিসিটিভি ফুটেজও লোপাট করার চেষ্টা করেছে বলে দাবি।
[আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রেমালের দাপটে ডুবল কলকাতা, গাছ ভেঙে ব্যাহত যান চলাচল]
সৌমিত্রর কথায়, "সিসিটিভি বদল করার জন্য মেশিনপত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। রবিবার কলেজের পিছনে হ্যালোজেন লাইট লাগানো হয়েছিল। সোমবার সেগুলো খুলে নেওয়া হয়। রাজ্য পুলিশ যে ওখানে গিয়েছে সেটা আমাদের ছেলেরা দেখতে পেয়েছে। তারা আমায় খবর দেয়। ওদের মোবাইলে তোলা ফুটেজে আমি দেখতে পাই ইভিএম রুমের দরজার সামনে মাসুদ হাসান ও অন্যান্য পুলিশরা। আর কেন্দ্রীয় বাহিনী বসে মদ আর মাংস খাচ্ছে। আমরা তৃণমূলকে ভয় পাই না। ভয় আমাদের এই দলদাস পুলিশকে নিয়ে। আর কিছুক্ষণ দেরি হলেই পুলিশ দরজা ভেঙে ইভিএম বদলে দিত।"
এদিন নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, কেজি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের স্ট্রং রুমের কাছে বাঁকুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং বিষ্ণুপুর থানার আইসি গিয়ে দরজা ভাঙার চেষ্টা করেছিল বলে একটি অভিযোগ বিজেপির পক্ষ থেকে দায়ের হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে ওই ঘটনার জন্য বাঁকুড়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ হাসানকে প্রশ্ন করা হলেও তিনি এড়িয়ে যান।