অর্ক দে, বর্ধমান: ফের বেফাঁস বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। পুলিশ ও প্রশাসনিক আধিকারিকদের উদ্দেশ্য করে বললেন, “দুর্নীতিতে যুক্ত প্রত্যেককে মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya) করে দেব।” সৌমিত্র খাঁর এই মন্তব্যের পালটা দিয়েছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষে একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। সেখানেই শাসকদলকে তুলোধোনা করেন তিনি। দুর্নীতি ইস্যুতে তীব্র আক্রমণ করেন পুলিশ-প্রশাসনকে। বলেন, “কিছু কিছু থানার ওসি বালি কেলেঙ্কারিতে যুক্ত। কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি হয়েছে। আমি ইতিমধ্যেই মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠিয়েছি। জেলা প্রশাসনের যারা বালি পাচারে বা কোনও কেলেঙ্কারিতে যুক্ত, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এরপরই সৌমিত্র খাঁ বলেন, “সবাইকে মানিক ভট্টাচার্য করে দেব। মানিকবাবুকে যেভাবে লুকিয়ে বেড়াতে হচ্ছে, দুর্নীতিতে যুক্ত সবাইকে সেভাবে পালাতে হবে।” যদিও সৌমিত্র খাঁয়ের মন্তব্যকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, “পাগল-ছাগল অনেক কিছু বলে। গুরুত্ব দেওয়ার কারণ নেই।”
[আরও পড়ুন: ছিল গগনচুম্বী অট্টালিকা, হল ধুলোর স্তূপ, নিমেষে ধ্বংস নয়ডার টুইন টাওয়ার, দেখুন ভিডিও]
উল্লেখ্য, প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ (TET) মামলায় দুর্নীতির অভিযোগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার স্ক্যানারে পর্ষদের তৎকালীন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একাধিকবার তলব করেছিল ইডি। তিনি মাত্র একবার হাজিরা দেন। তাঁর এবং পরিবারের সম্পত্তির নথি চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু ইডির সেই তলবে গুরুত্ব দেননি। তাঁর সঙ্গে ফোনেও কোনওভাবে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না বলেই ইডি সূত্রে খবর। তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে সিবিআই মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার রাতেই লুকআউট নোটিস (Lookout Notice) জারি করে। তিনি দেশ ছেড়ে পালাতে পারেন, এই আশঙ্কা করে তাঁকে রোখার জন্য দেশের সমস্ত বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরে সেই নোটিস পাঠিয়ে দেওয়া হয়। যদিও শুক্রবার যাদবপুরের বাড়ির বারান্দায় দেখা গিয়েছিল মানিক ভট্টাচার্যকে।