বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: সন্দেশখালি মামলার তদন্ত করবে সিবিআই। রাজ্যের আর্জি খারিজ করে জানাল সুপ্রিম কোর্ট। কলকাতা হাই কোর্ট সন্দেশখালি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করে রাজ্য। "রাজ্য কেন একজনকে আড়াল করার চেষ্টা করছে", প্রশ্ন সর্বোচ্চ আদালতের।
চলতি বছরের গত ৫ জানুয়ারি, শেখ শাহজাহানের খোঁজে সন্দেশখালিতে হানা দেয় ইডি। শেখ শাহজাহানের দেখা তো মেলেনি। পরিবর্তে আক্রান্ত হন আধিকারিকরা। এই ঘটনার পর থেকেই শাহজাহানের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ ওঠে। জমি, ভেড়ি জখলের পাশাপাশি নারী নির্যাতনের অভিযোগও ওঠে। এই ঘটনার পর থেকে বেপাত্তা হয়ে যায় সন্দেশখালির 'ত্রাস'। পরে ফেব্রুয়ারির শেষে ৫৫ দিনের মাথায় গ্রেপ্তার হন শাহজাহান। এই মামলার জল গড়ায় হাই কোর্টে। সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। তার বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। সোমবার বিচারপতি বিআর গাভাই এবং কেভি বিশ্বনাথনের ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি হয়। তাতেই রাজ্যের আর্জি খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সিবিআই তদন্তের নির্দেশই বহাল রাখে।
[আরও পড়ুন: উপাচার্য নিয়োগে সার্চ কমিটি গঠনের ‘সুপ্রিম’ নির্দেশ, বেঁধে দেওয়া হল ডেডলাইন]
বিরোধীদের তরফে বার বারই দাবি করা হয় শেখ শাহজাহানকে বাঁচাতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতেও ওঠে এই প্রসঙ্গ। বিচারপতি প্রশ্ন করেন, "কেন একজনকে আড়াল করার চেষ্টা করছে রাজ্য?" যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়ে দেন রাজ্যের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। তাঁর যুক্তি, শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে ৪৩টি এফআইআর হয়েছে। তার মধ্যে রেশন দুর্নীতি সংক্রান্ত এফআইআরও রয়েছে। চার্জশিটও হয়েছে ৪২টি। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়। মহিলা পুলিশ মোতায়েনের বন্দোবস্তও করা হয়। এই ঘটনায় অহেতুক রাজনীতির রং লাগানো হয়েছে। তবে সওয়াল জবাব শেষে সিবিআই তদন্তের নির্দেশই বহাল রাখে সিবিআই।