দুলাল দে: ভারতীয় ফুটবলে সুনীল ছেত্রীর সবচেয়ে কাছের কেউ যদি থাকনে, তিনি এসসি ইস্টবেঙ্গলের (SC East Bengal) বর্তমান কোচ রেনেডি সিং। মারিও রিভেরা যতদিন না, কোচিংয়ের দায়িত্বভার নিচ্ছেন, ততদিন পর্যন্ত রেনেডিকেই কোচের দায়িত্ব সামলাতে হবে। আর লাল-হলুদ বাহিনীর দায়িত্ব নিয়েই রেনেডিকে প্রথম ম্যাচেই সামলাতে হচ্ছে সুনীল ছেত্রীর (Sunil Chhetri)বেঙ্গালুরু এফসিকে (Bengaluru FC)।
এই মরশুমের আইএসএল (ISL) এখনও পর্যন্ত ভাল যাচ্ছে না সুনীলের। বেঙ্গালুরু অধিনায়কের এখনও পর্যন্ত গোল নেই আইএসেলে। আর এই অবস্থায় সুনীল কতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারেন, তা রেনেডির থেকে আর কে ভাল জানে? বাইচুং-সুনীল-রেনেডিরা যখন সবাই একসঙ্গে জাতীয় দলের হয়ে খেলছেন, তখন থেকেই সুনীল সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ রেনেডির। পরে জেসিটিতে একসঙ্গে খেলার সময় সেই ঘনিষ্ঠতা আরও বাড়ে। সম্পর্কটা হয়ে দাঁড়ায়, দাদা আর ছোট ভাইয়ের । তাই মঙ্গলবার কোচ হিসেবে লাল—হলুদকে রেনেডির প্রথম জয় এনে দেওয়ার সামনে সবচেয়ে বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন সুনীল ছেত্রী। এখনও পর্যন্ত গোল না পেলেও রেনেডি বললেন, “সুনীলকে হাল্কা ভাবে নেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। ও কখন কোন পজিশন থেকে গোল করে দেবে, কেউ বুঝতেও পারবে না। সুনীলের ব্যাপারে আমরা সতর্ক থাকছি।”
[আরও পড়ুন: Coronavirus: মহামারী থেকে বাঁচতে রক্ষাকবচ কলকাতা পুলিশের, তৈরি নিজস্ব প্যাথলজি সেন্টার-ওষুধের দোকান]
এসসি ইস্টবেঙ্গল এই মরশুমের আইএসএলে এখনও পর্যন্ত কোনও জয় না পেলেও, এমন বেশ কয়েকটি ম্যাচ খেলেছে, যে ম্যাচ থেকে পুরো তিন পয়েন্ট আসতে পারত। যেমন শেষ ম্যাচে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধেই অসাধারণ খেলেও জয় পাননি অরিন্দমরা। রেনেডি চেষ্টা করছেন, জয়ের চাকাটা মঙ্গলবার বেঙ্গালুরু ম্যাচ থেকেই ঘোরাতে।
অন্তর্বর্তী কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর, পুরো দলটাকে কোচিং করানোর জন্য রেনেডি সময় পেয়েছেন ছ’দিন। আর এই ছ’দিন ধরেই ফুটবলারদের বারবার করে মনে করাচ্ছেন, এই মরশুমে লাল—হলুদের ভাল পারফরম্যান্স করা ম্যাচগুলোর কথা। বলছেন, “যদি এই ম্যাচগুলো তোমরা দারুণ খেলতে পার, তাহলে মঙ্গলবার বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে কেন পারবে না?’’
স্টপার ফ্র্যাঞ্জো, ড্যারেনের সঙ্গে চোটের কবলে রয়েছেন ভারতীয় ফুটবলার জ্যাকিচাঁদ সিং এবং রাজু গায়কোয়াড়ও। তারপরেও কোনওরকম চাপ বোধ করতে রাজি নন রেনেডি। অথচ এখনও পর্যন্ত আইএসএলে জয় না দেখা এসসি ইস্টবেঙ্গল যদি মঙ্গলবার প্রথম জয়টা পেয়ে যায়, তাহলে কোচ রেনেডির কেরিয়ারে তা অন্যতম মাইলফলক হয়ে দাঁড়াবে। একদা জাতীয় অধিনায়ক শুধু বললেন, “এই ছ’দিনে আমাদের যা প্র্যাকটিস হয়েছে, তাতে প্রথম জয়টা পাওয়ার জন্য আমরা ভীষণই আশাবাদী। খুব কম সময়ের মধ্যে আমরা চেষ্টা করেছি, দলের কাঠামোটা ঠিক রাখতে। সঙ্গে শেপটাও যেন ঠিক ঠাক থাকে। আর শেপ ঠিকথাকলে অ্যাটাকের পাশাপাশি ডিফেন্স সামালনোও সুবিধের হবে। তবে আমরা লিগ টেবিলে যে পজিশনে রয়েছি, তাতে কোনও ফুটবলারই চাইবে না, এই অবস্থায় থাকতে। সবাই চাইবে পয়েন্ট সংগ্রহ করে এই পরিস্থিতি থেকে বার হতে। ফলে ফুটবলাররা নিজেদের উদ্যোগেই ম্যাচটা জেতার চেষ্টা করবে।”