সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাথরাস (Hathras) যাওয়ার পথে কেরলের সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করে বিপাকে উত্তরপ্রদেশে পুলিশ। এই ঘটনায় সোমবার যোগী আদিত্যনাথের প্রশাসন ও পুলিশকে নোটিস দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। এই মামলা এলাহাবাদ হাই কোর্টে স্থানান্তরিত করা হবে বলে ভাবনাচিন্তা করছে শীর্ষ আদালতের বিচারপতিরা। যার তীব্র বিরোধিতা করছেন কেরলের সাংবাদিক সংগঠনের আইনজীবী কপিল সিব্বল।
সেপ্টেম্বরে হাথরাসে গণধর্ষিতা হয় এক দলিত তরুণী। হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ার পর তাঁর মৃত্যু হয়। এদিকে পরিবারকে না জানিয়েই তাঁর দেহ দাহ করার অভিযোগ ওঠে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের বিরুদ্ধে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই বিপাকে পড়ে যোগী প্রশাসন। বিভিন্ন রাজ্যের সাংবাদিকরা সত্য উদঘাটন করতে হাথরাসে হাজির হন। তাঁদের আটকাতে কড়া ব্যবস্থা নেই উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। সেই হাথরাসে যাওয়ার পথে মথুরা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন কেরলের সাংবাদিক সিদ্দিক কাপ্পান। অক্টোবরের ৪ তারিখ থেকে জেলবন্দি তিনি। নিষিদ্ধ সংগঠন পিএফআইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে ইউএপিএ (UAPA) ধারায় মামলা করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন : রাষ্ট্র সমর্থিত সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে নাম না করে পাকিস্তানকে তুলোধোনা জয়শংকরের]
এদিকে সিদ্দিকি কাপ্পানের গ্রেপ্তারি বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে কেরলে ওয়ার্কিং জার্নালিস্ট ইউনিয়ন নামে সাংবাদিক সংগঠন। এদিন তাঁদের আরজির শুনানির শুরুতে উত্তরপ্রদেশ সরকারকে নোটিস জারি করে শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ। এদিন সিদ্দিকির অন্তর্বতীকালীন জামিনের আবেদন জানান আইনজীবী কপিল সিব্বল। এই মামলার আগামী শুনানি শুক্রবার। তবে এদিনের শুনানিতে পরোক্ষভাবে সাংবাদিক অর্ণব গোস্বামীর জামিনের কথাও উঠে আসে।
উত্তরপ্রদেশ সরকারের বক্তব্য আগে শোনা হবে বলে জানিয়েছে তিন বিচারপতির বেঞ্চ। একইসঙ্গে এই মামলা এলাহাবাদ হাই কোর্টে স্থানান্তরিত করা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন তাঁরা। এদিন বিচারপতিরা জানান, সংবিধানের ৩২ নং ধারার একচ্ছত্র ব্যবহার কমাতে চান তাঁরা। উল্লেখ্য, সংবিধানের এই ধারায় আমজনতার মৌলিক অধিকার রক্ষায় সুপ্রিম কোর্টকে ব্যাপক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এই ধারার জোরেই হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রিপাবলিক টিভির এডিটর-ইন-চিফ অর্ণব গোস্বামী। সেই প্রসঙ্গে তুলে ধরে এদিন সাংবাদিক সংগঠনের আইনজীবী কপিল সিব্বল বলেন, “সাংবাদিক জেলে রয়েছেন। এর আগে সুপ্রিম কোর্ট এ ধরণের মামলার রায় দিয়েছে।” পালটা বিচারপতিরা জানান, “আমরা জানি এর আগে এধরনের মামলার রায় আমরা দিয়েছি। কিন্তু এই প্রবণতা কমাতে চাই।”