সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘হিন্দুস্তানে’ হিন্দুদের সংখ্যালঘু তকমা দেওয়ার আবেদন খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-র নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, এ বিষয়ে ন্যাশনাল কমিশন ফর মাইনোরিটির সঙ্গে আলোচনা করা দরকার। তাই মামলাকারীকে কমিশনেরই দ্বারস্থ হতে হবে।
[হিন্দুস্তানে ‘সংখ্যালঘু’ হিন্দুরাই, সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ বিজেপি নেতা ]
তখন সদ্য স্বাধীন হয়েছে দেশ। রাজধানীতে প্রকাশ্য রাস্তায় জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীকে গুলি করে খুন করলেন নাথুরাম গডসে। তাঁরই বিখ্যাত উক্তি, ‘সিন্ধু নদের তীরে যেদিন গৈরিক পতাকা উড়বে, সেদিন আমার চিতাভস্মের বিসর্জন হবে।’ দক্ষিণপন্থী ইতিহাসবিদের একাংশ বলেন, ‘হিন্দুস্তানে’ যে একদিন হিন্দুরাই সংখ্যালঘু হয়ে পড়বে, তার হুঁশিয়ারি দিয়ে গিয়েছিলেন গডসে। স্বাধীনতার সত্তর বছর পর গান্ধী হত্যাকারীর ভবিষ্যদ্বাণীই নাকি সত্যি হয়েছে এদেশে। তাই ৮টি রাজ্যে হিন্দুদের সংখ্যালঘু তকমা দেওয়ার দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিলেন বিজেপি নেতা ও আইনজীবী অশ্বিনীকুমার উপাধ্যায়। রীতিমতো ২০১১ সালে জনগণনার তথ্য তুলে ধরে শীর্ষ আদালতে তিনি বলেন, লাক্ষাদ্বীপ, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, মেঘালয়, অরুণাচলপ্রদেশ, মণিপুর, জম্মু ও কাশ্মীর ও পাঞ্জাবে হিন্দুরা সংখ্যালঘু। কিন্তু, তথাকথিত ‘সংখ্যালঘু’দের দাপটে এইসব রাজ্যে হিন্দুদের অধিকার খর্ব হচ্ছে। অবমাননা করা হচ্ছে সংবিধানের। শুধু তাই নয়, বহু রাজ্যে ইসলাম ও খ্রীস্ট ধর্মাবলম্বীর সংখ্যা অনেক বেশি হওয়া সত্ত্বেও তাদের সংখ্যালঘুর মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু, শুক্রবার বিজেপি নেতার সেই আবেদন পত্রপাঠ খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। এই ৮টি রাজ্যে হিন্দুদের সংখ্যালঘুর তকমা দেওয়া হবে কিনা, সে বিষয়ে মামলাকারীকে ন্যাশনাল কমিশন ফর মাইনোরিটির দ্বারস্থ হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-র ডিভিশন বেঞ্চ।
[বিরিয়ানি রান্নার অভিযোগে চার পড়ুয়াকে জরিমানা জেএনইউ-র]
প্রসঙ্গত, ১৯৯৩ সালে বিজ্ঞপ্তি জারি করে ভারতে মুসলিম, খ্রীস্টান, শিখ, বৌদ্ধ ও পার্সিদের সংখ্যালঘু বলে ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। ২০১৪ সালে সেই তালিকায় স্থান পান জৈন ধর্মাবলম্বীরাও।
[টিপু সুলতানের জন্মজয়ন্তীতে কর্ণাটক জুড়ে বিজেপির বিক্ষোভ, কড়া প্রশাসন]
The post এদেশে হিন্দুদের সংখ্যালঘু তকমা দেওয়ার আবেদন খারিজ সুপ্রিম কোর্টের appeared first on Sangbad Pratidin.