সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিরাট স্বস্তি আদানি গোষ্ঠীর (Adani Group)। তাদের ক্লিন চিট দিল শীর্ষ আদালতের তৈরি কমিটি। হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টের পর থেকেই জল্পনার কেন্দ্রে আদানি গোষ্ঠী। কর্পোরেট কারসাজির অভিযোগে বিদ্ধ গৌতম আদানি ও তাঁর দাদা বিনোদ আদানি। বণিক মহলের পাশাপাশি রাজনীতির পুকুরেও এনিয়ে বিস্তর জল ঘোলা হচ্ছে। এহেন পরিস্থিতিতে প্যানেলের সিদ্ধান্তে নিশ্চিত ভাবেই কিছুটা আস্বস্ত হবেন আদানি গ্রুপের গ্রাহকরা।
কী বলা হয়েছে ওই রিপোর্টে? প্যানেল জানিয়ে দিয়েছে আদানি গ্রুপ কোনও নিয়মের উল্লঙ্ঘন করেনি। প্যানেলের বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে আদানি গোষ্ঠী শেয়ারবাজারকে প্রভাবিত করার কোনও চেষ্টা করেনি। আদানির কোম্পানিতে অবৈধ বিনিয়োগের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলেও জানানো হয়েছে। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, সেবি আদানি গ্রুপের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যকে ভুলভাবে উপস্থাপন করেনি। তবে সেই সঙ্গে এও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই সব সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত নয়। কেননা এখনও সেবি’র তদন্ত চলছে।
[আরও পড়ুন: ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি, ইউক্রেনে ‘দ্য গ্রেট গেম’ ব্রিটেন-রাশিয়ার!]
সোমবার শীর্ষ আদালতে সেবি জানায়, আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে ২০১৬ সাল থেকেই বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা তদন্ত করছে বলে একটি পিটিশনে করা দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। একই সঙ্গে আদালতে ‘তদন্তের স্বার্থে’ আরও ছ’মাসের সময় চায় সেবি। তবে আদালত তিন মাসের বেশি সময় দিতে রাজি হয়নি বলেই খবর।
প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারি মাসে আদানি গ্রুপকে নিয়ে একটি রিপোর্ট পেশ করে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ। Adani Group: How The World’s 3rd Richest Man Is Pulling The Largest Con In Corporate History শীর্ষক ওই রিপোর্টে আদানি (Adani) গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে শেয়ার বাজারে কারচুপি, অ্যাকাউন্ট ফ্রডের অভিযোগ আনা হয়। তারপর থেকেই সরব হয়েছিল কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলো।