বাবুল হক, মালদহ: আর জি কর কাণ্ডের তরুণী চিকিৎসকের হত্যাকাণ্ডে উত্তাল গোটা দেশ। তারই মাঝে মালদহে নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ। সরবতে মাদক
মিশিয়ে একাদশ শ্রেণির নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ। সেই মুহূর্তের ছবি মোবাইলে রেকর্ড করে সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগ। ইংরেজবাজার থানার পুলিশের বিরুদ্ধে উঠেছে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ। বাধ্য হয়ে সুবিচারের দাবিতে পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ নাবালিকার পরিবারের সদস্যরা।
নাবালিকার দাবি, প্রতিবেশী এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় তার। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ওই যুবক। ইতিমধ্যে দুজনের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি হয়। সমস্ত ঘটনার ভিডিও করে রাখে। এর পর ওই ভিডিও দেখিয়ে নাবালিকাকে বার বার ব্ল্যাকমেল করত বলেও অভিযোগ। এর পর দিনের পর দিন তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলেও অভিযোগ। তবে নাবালিকা তার প্রতিবাদ করে। ওই যুবক এর পর নাবালিকাকে মারধর করে বলেও অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: ‘অনুমতিই চাওয়া হয়নি, সম্পূর্ণ বেআইনি কর্মসূচি’, নবান্ন অভিযান নিয়ে দাবি রাজ্য পুলিশের]
বাধ্য হয়ে এর পর গোটা ঘটনাটি সে তার পরিবারকে জানায়। নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, স্থানীয় থানায় ওই যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে যা তাঁরা। তবে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলেই অভিযোগ। তাই বাধ্য হয়ে পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছেন নির্যাতিতার পরিবারের লোকজন। যদিও এখনও অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার বা আটক করা যায়নি। এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু জোর রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির দাবি, "বর্তমান সরকারের আমলে পুলিশ কোন অপরাধীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আর সে কারণেই অপরাধীরা একের পর এক ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে। আর জি করে যা হয়েছে, তারই প্রতিচ্ছবি এই ঘটনা।" গেরুয়া শিবিরকে পালটা জবাব দিয়ে অবশ্য তৃণমূলের আশ্বাস, "আইন আইনের পথে চলবে। অভিযুক্তর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"